সংক্ষিপ্ত

কর্মিসভায় বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শুভেন্দুর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করল তৃণমূল কংগ্রেস। মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ও মন্ত্রী শশী পাঁজা সাংবাদিক করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন।

কর্মিসভায় বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শুভেন্দুর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করল তৃণমূস কংগ্রেস। মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ও মন্ত্রী শশী পাঁজা সাংবাদিক করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন। বিজেপির কর্মিসভার ভিডিও ক্লিপ চালিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির নেতা দলীয় কর্মিসভায় অভিষেকের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যাতে রীতিমত কড়া জবাব দিলে তৃণমূল কংগ্রেস। 

শশী পাঁজার বক্তব্য 
তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই জানিয়ে দেন তিনি কোনও দলের নেত্রী হিসেবে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হননি। একজন মা হিসেবেই বলছেন। তিনি শুভেন্দুর মানসিক ভারসাম্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন , চিকিৎসক হিসেবে তিনি শুভেন্দুকে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। পাশাপাশি অভিষেকের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য তিনি শুভেন্দু অধিকারীর তীব্র নিন্দা করে বলেন একজন মাকে অপমান করেছেন শুভেন্দু। তিনি আরও বলেন, এটা রাজনীতি নয়। সংস্কৃতি নয়। পাশাপাশি তিনি বলেন তাঁর দলের প্রধানরা সকালে নারী শক্তির কথা বলেন, আর বিকেলেই ধর্ষকদের ছেড়ে দেয়। তিনি আরও বলেন বাংলায় এজাতীয় রাজনীতি চলবে না। তবে তৃণমূল কংগ্রেস এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে বলেও জানিয়ে দেন শশী পাঁজা।

কুণাল ঘোষের মন্তব্য
কুণাল ঘোষ বলেন অভিষেককে ভয় পাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। এই রাজ্যের নেতারাও অভিষেককে ভয় পাচ্ছে। কুণাল আরও বলেন ২০২১ সাল থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিষেককে আক্রমণ করছে বিজেপি। তিনি আরও বলেন, অভিষেক বয়সে অনেকটাই কম। কিন্তু বড় নেতা। তাও বিজেপি তাতে ভয় পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন অভিষেক ভাল কাজ করছে। অভিষেক শুভেন্দুর থেকে অনেক ছোট তাও বিজেপি তাঁকে ভয় পাচ্ছে। কুণালের কথায় মমতার ভাইপো হওয়া কখনই দোষের হতে পারে না। তিনি বলেন এক তরুণ নেতার বাবাকে নিয়ে ত কথা বলা হচ্ছে। এটাতে তাঁর মাকেও অপমান করা হচ্ছে। কুণাল বলেন উন্নয়ন নিয়ে প্রতিযোগিতা হোক। কিন্তু এজাতীয় ব্যক্তিগত আক্রমণ বাংলার রাজনীতিতে কাম্য নয় বলেও জানিয়ে দেন কুণাল ঘোষ। 

ব্যক্তিগত আক্রমণ
নবান্ন অভিযানের দিনে শুভেন্দু পুলিশকে নিশানা করে বলেছিলেন, 'আমি পুরুষ, আবার শরীর ছোঁবে না।'শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পরই  আসরে নামে তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুকে 'পুরুষ পছন্দ করা নেতা' বলে তোপ দাগেন। কুণাল ঘোষও শুভেন্দুকে সমকামী নেতা হিসেবে টার্গেট করেন। তারপরই শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য। যা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।