সংক্ষিপ্ত

এবার নাকি তৃণমূলের পাশাপাশি শহিদ দিবস পালন করতে চায় বিজেপিও। অনুষ্ঠানের রূপরেখা কী হবে তাও চূড়ান্ত করে ফেলেছেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সেকথা ঘোষণা করা হতে পারে। 

প্রতিবছরই ২১ জুলাই দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে তৃণমূল। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এই দিন পালন করেছিল তারা। এবারও তার অন্যথা হবে না। যদিও জনসভা না করে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই দিন পালন করা হবে। ভার্চুয়াল মাধ্যমেই বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার তাঁর বক্তব্য শুধুমাত্র রাজ্যের গণ্ডির মধ্যেই থাকবে না। তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে রাজধানী দিল্লি-সহ ত্রিপুরা, অসম, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, বিহার এবং পঞ্জাবে। সূত্রের খবর, এবার নাকি তৃণমূলের পাশাপাশি শহিদ দিবস পালন করতে চায় বিজেপিও। অনুষ্ঠানের রূপরেখা কী হবে তাও চূড়ান্ত করে ফেলেছেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সেকথা ঘোষণা করা হতে পারে। 

আরও পড়ুন- '২০২৪-এ দিল্লিতে হবে মমতা সরকার', একুশে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে তৃণমূল - ফাঁস করলেন মদন

১৯৯৩ সালের‌ ২১ জুলাই। যুব কংগ্রেসের কর্মসূচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জনের। সেই কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা নিজেই। সেই সময় তিনি ছিলেন যুব কংগ্রেস নেত্রী। এরপর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল গড়েন তিনি। কিন্তু, সেই দিনের কথা স্মরণ করে তৃণমূল গড়ার পরও শহিদ দিবস পালন করেন নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ব্রিগেড ময়দানে বড় করে ওই সমাবেশ করেছিলেন তিনি। তবে করোনার জন্য এবার আর তা জনসভা করে পালন করা হবে না। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখবেন মমতা। 

আরও পড়ুন- "এমন কাজ করবেন না যাতে কাশ্মীরে ডিউটি করতে হয়", এসপি-কে হুমকি শুভেন্দুর

আর এবার সেই দিবসের পাল্টা কর্মসূচির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। একুশের নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ করে আসছে তারা। তাদের দাবি, মমতার শাসনকালে এখনও পর্যন্ত তাদের মোট ১৮০ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাই মৃত কর্মীদের শ্রদ্ধা জানাতে এবার তৃণমূলের মতো করে শহিদ দিবস পালনের পরিকল্পনা করেছে তারা। ওই একই দিনে মৃত কর্মীদের শহিদের মর্যাদা দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। সূত্রের খবর, বুধবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিজেপির কর্মসূচি হতে পারে। তবে এই সভায় কারা বক্তব্য রাখবেন তা এখনও জানা যায়নি। 

আরও পড়ুন- 'টাটাদের স্বাগত, আন্দোলন তাদের বিরুদ্ধে ছিল না', সিঙ্গুর আন্দোলনের ১৩ বছর পর বললেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়

আর এই কর্মসূচিকে সফল করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। রাজ্যের সব জায়গায় ইতিমধ্যেই বার্তা পাঠানো হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি জেলা দফতরে বড় স্ক্রিন লাগিয়ে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে বলা হয়েছে। সব জায়গাতে এই কর্মসূচি ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই কর্মসূচি তারা কতটা সফল করতে পারে এখন সেটাই দেখার।