সংক্ষিপ্ত
সিঙ্গুর আন্দোলনের ১৩ বছর পর টাটা কোম্পানিকে স্বাগত জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। জানিয়েছেন বিনিয়োগের বিষয় আগ্রহ দেখিয়েছে টাটারা
দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ১৩ বছর। তৎকালীন বিরোধী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলনের দাপটে সিঙ্গুর থেকে পাততাড়ি গোটাতে বাধ্য হয়েছিল টাটা কোম্পনি। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শিল্পায়নের স্বপ্ন সেখানেই থেমে গিয়েছিলেন। তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। এই রাজ্য থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন বামেরা। সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ওপর ভর করে রাইটার্স দখল করার পর, পরপর তিন বার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এতদিন পরে তারই মন্ত্রিসভার শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানালেন টাটা কোম্পনিকে।
বিয়ের পিঁড়িতে কনেকে দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেল বর, তারপর কী হল জানতে দেখুন ভাইরাল ভিডিওটি
সোমবার রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, সেই সময় তাঁদের আন্দোলন টাটা কোম্পানির বিরুদ্ধে ছিল না। আন্দোলন ছিল জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন সেই সময় সমস্যা ছিল তৎকালীন বাম সরকারের সঙ্গে। যেভাবে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল তার পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা ছিল। টাটাদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও শত্রুতা নেই বলেও জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দেশে ও বিদেশে টাটারা যথেষ্ট গুরুত্ব আর বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে কাজ করছেন। তাই টাটাদের তিনি দোষ দিতে চাননা বলেও জানিয়েছেন।
পেগাসাসঃ সংসদে দাঁড়িয়ে অভিযোগ ওড়ালেন নতুন মন্ত্রী, বললেন 'এটি কাকতালীয় নয়'
পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই আগ্রহ দেখিয়েছেন টাটারা। রাজ্যের একাধিক আধিকারিকদের সঙ্গে টাটাদের যোগাযোগও রয়েছে। টাটাদের বেশ কয়েকটি সংস্থাও রয়েছে। এরপরেও যদি টাটারা এই রাজ্যে বড় কোনও বিনিয়োগ করতে চায় তবে সেক্ষেত্রে তাঁদের স্বাগত জানান হবে। তৃণমূল সরকারের কোনও অসুবিধে নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন টাটারা এই রাজ্যে টাটা সেন্টার তৈরি করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সাবধান! ভুল করেও বেনামী লিঙ্কে ক্লিক নয়, পেগাসাস থেকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ সাইবার বিশেষজ্ঞর
২০০৬-০৭ রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল সিঙ্গুর আন্দোলনে। জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করে তৎকালীন রাজ্যের বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সিঙ্গুরের জন্য দীর্ঘ অনশনও করেছিলেন তিনি। রাস্ত অবরোধও হয়েছিল সেই সময়। তারপরই ২০১১ র ভোটের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিই ছিল ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরের কৃষকরা ফিরে পাবেন তাঁদের জমি। সেই সময় আইনি লড়াইয়ের পর জমিও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু প্রায় ১৩ বছরও পরেও রাজ্য রাজনীতিতে যথেষ্টই প্রাসঙ্গিত সিঙ্গুর।