সংক্ষিপ্ত
- জিয়াগঞ্জের শিক্ষক হত্য়ায় রাজ্যপাল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আগেই
- রাজ্যপাল ছাড়িয়ে শিক্ষক পরিবার হত্যার খবর পৌঁছে যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে
- রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি বয়ান করতে এই কাজ করবে বিজেপি
জিয়াগঞ্জের শিক্ষক হত্য়ায় রাজ্যপাল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আগেই। এবার রাজ্যপাল ছাড়িয়ে শিক্ষক পরিবার হত্যার খবর পৌঁছে যাবে রাষ্ট্রপতি-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সার্বিক পরিস্থিতি বয়ান করতে এই কাজ করবে বিজেপি। শনিবার তেমনটাই জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বাদ রাখছে না কেউ। আরএসএস, বিজেপি হয়ে সিপিএম, তৃণমূল জিয়াগঞ্জের শিক্ষক পরিবার হত্যা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক রং মাখামাখি। প্রথমে জিয়াগঞ্জের শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পালকে নিজেদের সংগঠনের লোক বলে দাবি করে আরএসএস। পরে এই ঘটনা নিয়ে টুইট করে সরাসরি রাজনৈতিক রং লাগান বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব সম্বিত পাত্র। বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হন খোদ রাজ্যপাল। প্রকাশ্যেই জগদীপ ধনখড় বলেন, শিক্ষক পরিবার হত্যার মতো ঘটনাই প্রমাণ করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বাস্তব রূপ। যার বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থবাবু বলেন, একটা পারিবারিক সমস্যাকে বড় করে রাজনৈতিক রং মাখানো হচ্ছে।
শনিবার সেই প্রশ্নের উত্তর শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন,তৃণমূলের নেতারা কি জ্যোতিষ জানেন। ঘরে বসে বলে দিচ্ছেন জিয়াগঞ্জে কী হয়েছে। কেউ বলছেন পারিবারিক বিবাদ, কেউ বলছেন প্রেম থেকে খুন। এমনিতেই শিক্ষক পরিবার হত্যায় ওখানকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। উল্টে নেতারা উল্টো পাল্টা বলে ওদেরকে বিভ্রান্ত করছেন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে রাষ্ট্রপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যাবে রাজ্য বিজেপি।
তবে এই বলেই থেমে থাকেননি মেদিনীপুরের সাংসদ। তিনি জানান, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনমনের বিরুদ্ধে নবান্ন অভিযানে নামবেন তাঁরা। তবে সেই বিষয়ে এখনও দিনক্ষণ ঠিক হয়নি বলে জানান দিলীপবাবু। তাঁর অভিযোগ, জিয়াগঞ্জের মামলায় পুলিশ সঠিক তদন্ত না করে নাটক করছে। না হলে এতদিন দোষীদের ধরতে অনেকটাই এগিয়ে যেত পুলিশ। কদিন আগেই জিয়াগঞ্জে নৃশংস ভাবে খুন হন শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল। দুষ্কৃতীদের নৃশংসতা থেকে ছাড় পাননি তাঁর অন্তসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি পাল ও আট বছরের ছেলে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, খুনের সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি কেউ। তাই হত্য়ার আগে তাদের মাদক খাওয়ানো হয়েছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। পুলিশের ধারণা, হত্যাকারী পরিবারের পূর্ব পরিচিত। সেকারণে খাবারের মধ্য়ে মাদক দেওয়ায় বিশ্বাস করে তা খেয়েছে শিক্ষক পরিবার।