সংক্ষিপ্ত

  • থানার লকআপে দলিত কিশোরের মৃত্যু
  • পুলিশের বিরুদ্ধে পিটিয়ে মারার অভিযোগ
  • দফায় দফায় বিক্ষোভে রণক্ষেত্র মল্লারপুর
  • সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপি-এর
     

আশিস মণ্ডল, বীরভূম:  পুলিশি হেফাজতে নাবালকের মৃত্যু। পরিবারের হাতে না দিয়ে দলিত কিশোরের দেহ দাহ করে দিলেন পুলিশকর্মীরাই! হাথরাসকাণ্ডে স্মৃতি ফিরল এ রাজ্যে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বীরভূমের মল্লারপুর। থানার ওসি শাস্তির দাবিতে জাতীয় সড়কে অবরোধ চলল দফায় দফায়।

আরও পড়ুন: পুকুর থেকে পাথর মূর্তি উদ্ধার ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড, মূর্তি পুজো ঘিরে কার্যত মেলার চেহারা তমলুকে

মৃতের নাম শুভ মেহেনা। বাড়ি, মল্লারপুর শহরের বাউড়ি পাড়ায়। বাবা স্থানীয় বাজারে সবজি বিক্রি করেন, আর লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন মা। অভাবের সংসার। পুলিশের দাবি, মাঝ-মধ্যেই নেশা করত শুভ। নেশার টাকা জোগাড়ের জন্য চুরি করতে পিছুপা হত না সে। সপ্তমীর দিনে রাতে মোবাইল চুরির অভিযোগে শুভকে আটক করে থানায় গিয়ে যায় পুলিশ। থানার মারধর খাওয়ার পর চুরির কথা স্বীকারও করে নেয় ওই কিশোর। শেষপর্যন্ত মোবাইলটি উদ্ধারও হয়। থানার থেকে ছাড়ার পর মঙ্গলবার ফের চুরির অভিযোগ পুলিশ শুভকে তুলে নিয়ে যায়। 

তারপর? পরিবারের লোকেদের অভিযোগ,  আদালতে না পাঠিয়ে চারদিন ধরে থানার লকআপে ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে, শুক্রবার ভোররাতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতালে ধৃত কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা  করেন চিকিৎসকরা। এরপর আবার মৃতের বাবা-মাকেও আটক করে পুলিশ। ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বেলা গড়াতে থানায় সামনে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাহিনী মোড়ে অবরোধ করা হয় ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কও। এরইমধ্যে সন্ধের দিকেই তারাপীঠ শশ্মানে শুভ মেহেনার দেহ দাহ করে দেন পুলিশকর্মীরাই।

আরও পড়ুন: বিশ্ব নবি দিবসের মিছিলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে প্রাণ হারালেন দু'জন

বিজেপি-এর রাজ্য কমিটির সদস্য বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য অর্জুন সাহা বলেন, 'ওই পরিবার আমাদের দলের সমর্থক। পুলিশ ওই নাবালককে পিটিয়ে মেরেছে। তা না হলে ভোরের দিকে সকলের অলক্ষ্যে বাবা-মাকে তুলে নিয়ে যেত না। আমরা এর সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।' পুলিশি হেফাজতে দলিত কিশোরের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তুলেছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার কো-অর্ডিনেটর ধীরেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।