সংক্ষিপ্ত
পার্সেল বিস্ফোরণকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার বনধ কর্মসূচি হেমতাবাদে। ঘটনাস্থলে মোতায়ন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পার্সেল বিস্ফোরণকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার বনধ কর্মসূচি হেমতাবাদে (Hemtabad Blast)। উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদের এক ওষুধ ব্যবসায়ীর নামে একটি পার্সেল দিয়ে যায় এক টোটোওয়ালা। পার্সেলটি খুলতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বিস্ফোরণের ফলে গুরুতর জখম হয় চার জন। হেমতাবাদে এই পার্সেল বিস্ফোরণের জেরেই শনিবার ঘটনার প্রতিবাদে বনধ কর্মসূচি পালন করছে এলাকার ব্যবসায়ী সমিতি( Business Association)। ঘটনাস্থলে মোতায়ন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী (Police)।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদের বাহারাইল এলাকার এক ওষুধ ব্যবসায়ী বাবলু চৌধুরী নামে একটি পার্সেল এসে পৌছয় এক টোটোওয়ালা। একটি পার্সেল দিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই উধাও হয়ে যায় সেই টোটো চালক। এদিকে পার্সেলটি খুলতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বিস্ফোরণের ফলে গুরুতর জখম হয় চার জন। গুরুতর জখমদের নাম তপন রায়, বাবলু চৌধুরী, মহঃসফুর। এদের তিনজনের বাড়ি বারারাইল গ্রামে। গুরুতর জখম তিনজনকে রায়গঞ্জ গভমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর একজন হেমতাবাদ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তপন রায়, বাবলু চৌধুরী, মহঃসফুরদের বর্তমানে রায়গঞ্জ গভঃ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই বিস্ফোরণে কেউ প্রাণ না হারালেও তীব্র মাত্রায় প্রত্যেকেই আতঙ্কিত। তিন জন আহতের অপর আরেক জন বারবার গতকাল আওড়ে ছিয়েছেন , 'বাঁচবো না বোধয়।' মৃত্যুভয় তাঁড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁকে। তবে ওই তিন আহত ব্যক্তিদের রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে নিয়ে ভর্তি পরেই কড়া পর্যবেক্ষণে রাখেন চিকিৎসকেরা। এদিকে দোরগড়ায় প্রজাতন্ত্র দিবস। সারা দেশ তথা রাজ্য জুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তারইমাঝেই কী করে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটল, এনিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে এসেছে।
বিস্ফোরণের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাহারাইল গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়েই বাহারাইল গ্রামে ছুটে আসে হেমতাবাদ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ব্লক হেমতাবাদের বাহারাইলে সাধারনতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে এমন ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। ওই টোটোচালক ও মহিলা যাত্রী সহ টোটোর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী বাবলু চৌধুরীর নামেই একটি পার্সেল টোটোতে করে আসে। পার্সেলটিতে তাঁর নাম ও ফোন নাম্বার লেখা ছিল বলে বাবলু চৌধুরী ওই পার্সেলটি নেন।পার্সেলটি খুলতেই আচমকা ফেঁটে যায়। বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয় চারজন। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ওই এলাকার ব্যবসায়ী সমিতি পক্ষ থেকে সমস্ত দোকানপাট বাজার বন্ধ করে রেখেছেন। 'যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি জানানোর পাশাপাশি দোষীদের যতক্ষন না গ্রেপ্তার করা হবে ততদিন এই এলাকায় কোনও দোকান বাজার খোলা হবে না', বলে জানান তাঁরা।