সংক্ষিপ্ত

বুধবার সকালে মলয় ঘটকের আসানসোলের তিনটি বাড়ি ও কলকাতার তিনটি বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। কয়লা পাচার মামলাতেই চলছে তল্লাশি। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে মলয় ঘটকের ছ’টি বাড়িতে অতর্কিতে হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা।

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মলয় ঘটককে হেনস্থা করছে সিবিআই। এই শ্লোগান তুলে মলয় ঘটকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের। ‘মলয় ঘটক জিন্দাবাদ’, ‘সিবিআই দূর হঠো’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদীতভাবে সিবিআই পাঠাচ্ছে বিজেপি। কোনও দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপির কোনও নেতার বাড়িতে কেন অভিযান হচ্ছে না? এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

বুধবার সকালে মলয় ঘটকের আসানসোলের তিনটি বাড়ি ও কলকাতার তিনটি বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। কয়লা পাচার মামলাতেই চলছে তল্লাশি। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে মলয় ঘটকের ছ’টি বাড়িতে অতর্কিতে হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। এদিকে, আসানসোলে মলয় ঘটকের এক বাড়িতে আসানসোল পুরনিগমের কাউন্সিলর সোনা গুপ্তা আসেন। তিনি অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাধার মুখে পড়েন। তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।  

এদিকে, মলয় ঘটকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভকারী তৃণমূল নেতা বলেন, “বিজেপির দালাল হিসাবে কাজ করছে সিবিআই। মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে। বিজেপি শূন্য হয়ে গিয়েছে। তাই ইডি-সিবিআইকে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূল নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।”

যদিও বাড়িতে মন্ত্রী নেই বলেই খবর। তবে সূত্র মারফত খবর, এই মুহূর্তে কলকাতায় রয়েছেন মন্ত্রী। তবে প্রথমে সিবিআই আধিকারিকরা মন্ত্রী আসানসোলের বাড়িতে যান। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ থাকার পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। পরে রওনা দেন আসানসোলেই মন্ত্রীর পৈত্রিক বাড়ির উদ্দেশে। সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। 

জুলাই মাসে মলয় ঘটককে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু সে সময় ইডি দফতরে হাজিরা দেননি তিনি। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার মধ্যেই সিবিআই হানা। অতর্কিত এই হানায় ফের বিতর্ক বঙ্গ রাজনীতিতে। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই তল্লাশি নিয়ে মুখ খোলেনি। 

ফেব্রুয়ারি মাসেই রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করে ইডি। উল্লেখ্য, একুশ সালে অক্টোবর মাসে কয়লাকাণ্ডের তদন্তে ইডির সদ দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন রাজ্য়ের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। সেসময় একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকে। এরপর দোসরা ফেব্রুয়ারিও মলয় ঘটককে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে তিনি আগেরবার হাজিরা দেননি। এই নিয়ে মোট তিন বার মলয় ঘটককে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

এদিকে, কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআই ও ইডি সমান্তরাল ভাবে তদন্ত করছে। সকাল ৮.১৫ মিনিট নাগাদ মন্ত্রীর পুরনো বাড়িতে যায় সিবিআই। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে পুরনো বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তদন্তকারীরা।