সংক্ষিপ্ত
- ভোটের ডিউটিতে ভেস্তে গেল বিয়ে
- হাওড়ায় কেন্দ্রীয বাহিনীর জওয়ানের তাণ্ডব
- হত এক, আহত আরও দুই
সামনেই বিয়ে, তাই ছুটি চেয়েছিলেন তিনিI কিন্তু তা মঞ্জুর না হতেই রাগে নিজের ঊর্ধ্বতন অফিসারকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিল ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয বাহিনীর এক জওয়ানI ঘটনায় এক অফিসারের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে. গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও একজনI একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাগনানেI
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত জওয়ান লহ্মীকান্ত বর্মন অসম স্টেট আর্মড পুলিশে কর্মরতI আগামী ছ' মে হাওড়ায ভোটI সেই ভোটে নিরাপত্তা দিতেই বাহিনীর বাকি সদস্যদের সঙ্গে হাওড়ার উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে এসেছিলেন ছাব্বিশ বছর বয়সি লহ্মীকান্তI আগামী কুড়ি মে তার বিয়ে ঠিক হয়ে রযেছে. বাহিনী সূত্রে খবর, মানসিক অবসাদের জন্য চিকিতসাধীন ছিল অভিযুক্ত লহ্মীকান্তI বিয়ের জন্যই বুধবার আগাম ছুটি চেয়ে ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের কাছে দরবার করে সেI কিন্তু ভোটে নিরাপত্তা দেওয়ার কারণেই সেই ছুটির আবেদন খারিজ হয়ে যায়. তখনই ভোলানাথ দাস নামে বাহিনীর এক এসআই পদমর্য়াদার অফিসারের সঙ্গে বচসা বাঁধে তারI
অভিযোগ, এর পরই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ভোলানাথ দাসকে লক্ষ্য করে নিজের ইনসাস রাইফেল থেকে গুলি চালাতে শুরু করেন লহ্মীকান্তI ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভোলানাথবাবুর. অনিল রাজবংশী নামে এক এসআই এবং রোন্টু মণি বোরহক নামে এক কনস্টেবলও গুলিবিদ্ধ হনI মোট তেরো রাউন্ড গুলি চালায অভিযুক্তI
ঘটনার পরেই পাচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত লহ্মীকান্ত. কিন্তু তার সহকর্মীরাই তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়I ঘটনায প্রশাসনিক স্তরেও তদন্ত শুরু হয়েছেI
প্রাথমিক পাওয়া খবর অনুয়াযী, লহ্মীকান্ত বর্মন নামে ওই জওযানকে বুধবারই জানিযে দেওয়া হযেছিল যে ছুটি মঞ্জুর হবে নাI এর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে উলুবেড়িয়া লোকসভার অন্তর্গত বাগনান এলাকায় রুট মার্চের বেরোতে বললে বেঁকে বসে সেI তখন ভোলানাথ দাস তাকে সতর্ক করে জানায়, কাজে যোগ না দিলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারেI তখনই নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালাতে শুরু করে অভিযুক্তI তাকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেন রোন্টু নামে ওই কনস্টেবলI প্রথমে নিজের হাত থেকে রিভলবার পড়ে গেলেও রন্টুর হাতে থাকা ইনসাস কেড়ে নিয়ে গুলি চালাতে শুরু করে লহ্মীকান্তI এর পরে পাচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করলেও সে ধরা পড়ে যায়I
আহত দু' জনকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেI আহতদের মধ্যে একজন বিপন্মুক্ত হলেও অন্যজনের অবস্থা গুরুতরI