সংক্ষিপ্ত
- খড়গপুরে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে
- সোমবার থেকে রেলশহরে রুটমার্চ শুরু করল কেন্দ্রীয় বাহিনী
- রবিবার রাতে খড়গপুরে পৌঁছয় এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
- কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরপেক্ষতা সুনিশ্চিত করতে কমিশনকে চিঠি বিজেপির
বিধানভার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ফের ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। সোমবার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে রুটমার্চ শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। রবিবার রাতেই খড়গপুরে এসে পৌঁছান কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা। এদিকে রেলশহরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এরিয়া ডোমিনেশন নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে বিজেপি।
গত বিধানসভা ভোটে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচন হন খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু গত লোকসভা ভোটেও ফের প্রার্থী হন তিনি। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। ফলে উপনির্বাচন হচ্ছে খড়গপুর। রেলশহরে উপনির্বাচনে লড়াই ত্রিমুখী। তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে, আর জোট বেঁধে লড়ছে কংগ্রেস ও বামেরাও। ২৫ নভেম্বর ভোটগ্রহণ। ভোটকে অবাধ ও শান্তিপুর করতে রবিবার রাতে খড়গপুরে এসে পৌঁছেছে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সোমবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় রুটমার্চে নেমে পড়লেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা যখন রুটমার্চ করেন, তখন তাঁদের পথ দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান পুলিশের পদস্থ কর্তারা। কিন্তু খড়গপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে পুরোপুরিভাবে পুলিশের অধীনে চলে যায়, তা দেখার অনুরোধ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে বিজেপি। দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সহ-সভাপতি ও খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে সংযোজক গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, 'অন্য়ন্যবারের মতো এবারেও যদি খড়গপুর টাউন থানার ওসি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করেন, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের পক্ষে ভোটারদের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে, তা সুনিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছি। ' তবে স্রেফ কমিশনকে চিঠি দেওয়াই নয়, খড়গপুরে বিজেপি নেতারাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধির উপর নজর রাখবেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিজেপির সক্রিয়তা কটাক্ষ করেছেন খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার। তিনি বলেন, শুরু থেকেই এত ভয় পেলে হবে! বাহিনী এসেছে, 'তাঁরা তাঁদের মতো কাজ করুক। আমরা চিন্তিত নই।'