সংক্ষিপ্ত

দেশের বাইরেও বনকাপাসির শিল্পীদের তৈরি  প্রতিমা পাড়ি দিয়েছে। কিন্তু কখনোই এখানকার শিল্পের সেভাবে বানিজ্যিকীকরন  হয়নি,  তাই এবার এখানকার শোলা শিল্পের মানোন্নয়নে এগিয়ে এয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।   

বনকাপাসির শোলা শিল্প জগৎবিখ্য়াত। দেশে তো বটেই,  দেশের বাইরেও এখানকার  শিল্পীদের তৈরি  প্রতিমা পাড়ি দিয়েছে। কিন্তু কখনোই এখানকার শিল্পের সেভাবে বানিজ্যিকীকরন  হয়নি। তাই এবার এখানকার শোলা শিল্পের মানোন্নয়নে এগিয়ে এয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।   

আরও পড়ুন, দুর্গা পুজোর আগেই দুয়ারে রেশন, কীভাবে কবে কোথায় মিলবে, নির্দেশিকা জারি খাদ্য দফতরের

আন্তর্জাতিক বাজারে মান বাড়াতে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের বনকাপাসির শোলা শিল্পীদের নিয়ে তিন মাসের প্রশিক্ষন শিবির শুরু করেছে  কেন্দ্রীয়  বস্ত্র মন্ত্রকের অধীন হস্ত শিল্প বিভাগ।  প্রশিক্ষনের ফলে শিল্প কর্মের মান উন্নয়ন ঘটবে এবং তা আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানিযোগ্য হয়ে উঠবে বলে আশা দপ্তরের। বরাবরাই  বনকাপাসির শোলা শিল্পের  দেশ জুড়ে খ্যাতি রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এখানকার  শিল্পীদের তৈরি  প্রতিমা বিদেশে পাড়ি দিয়েছে। তবুও বাকি রয়ে গিয়েছে অন্যতম জিনিসটাই। কারণ এখানকার শিল্পের  বানিজ্যিকীকরন সেভাবে কোনওদিন হয়নি। আর এবার সেই লক্ষ্যেই  বনকাপাসি গ্রামেই শুরু হয়েছে এই প্রশিক্ষণ শিবির। বনকাপাসি গ্রামে এবার ৩০ জন মহিলা সহ মোট ৪০ জন তপসিলী  শিল্পীকে প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহে ৫ দিন বেলা ১১ টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলছে। শিল্পীদের উৎসাহ দিতে দৈনিক ৩০০ টাকা ভাতার ব্যবস্থা রয়েছে।  শিল্পীদের  প্রশিক্ষণ  দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট  দপ্তরের  ডিজাইনার  সুদীপ্ত  ষোষ এবং বনকাপাসি গ্রামের রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী আশিস মালাকার।

"  

আরও পড়ুন, COVID 19: দৈনিক সংক্রমণ ১০০-র উপরে কলকাতা-উত্তর ২৪ পরগণায়, মৃত্যু শূন্য উত্তরবঙ্গ

সুদীপ্ত ঘোষ  জানিয়েছেন,  'এখানকার শিল্পীরা মূলত প্রতিমার সাজ তৈরি  করতেন।  সেখান থেকে বেরিয়ে এসে শোলার কাজকে  আন্তর্জাতিক  বাজারে উপস্থাপিত করার জন্য যুগোপযোগী  বিভিন্ন নতুন  ধরনের ডিজাইনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।  প্রশিক্ষণ শেষে শিল্পীদের শংসাপত্র দেওয়া হবে যা তাঁদের  ব্যাঙ্ক লোন পেতে সাহায্য করবে।  পাশাপাশি  তাঁদের  স্বনির্ভরতার দিশা দেখাবে।'  রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শোলা শিল্পী আসিশ মালাকার  জানিয়েছেন, 'বিশ্ববাজারে শোলা শিল্পের কদর রয়েছে।  সেজন্য সময়ের সংগে পাল্লা দিয়ে  ডিজাইনের বৈচিত্র্য প্রয়োজন। শোলা শিল্প যাতে আন্তর্জাতিক বাজারে স্থান পায় সেজন্যই এই প্রশিক্ষণ। নতুন  নতুন  ডিজাইন শিখতে পেরে খুশি শিল্পীরা।' 

    আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা 

আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস 

 

YouTube video player