সংক্ষিপ্ত
- সিনেমার কায়দায় অপহরণ-কাণ্ড
- দীর্ঘ দিনের পাওনা টাকা ফেরত নিতে গিয়ে বিপত্তি
- অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করে ব্যবসায়ীরা
- খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন পরিবার, ঘুম উড়ল পুলিশের
ব্যবসায়ীক সূত্রে টাকা ধার দিয়েছিলেন। তিন বছর ধরে সেই পাওনা টাকা পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন ব্যবসায়ী। কিন্তু, কোনও ভাবেই সেই টাকা ফেরত পাচ্ছিলেন না তিনি। অবশেষে, পাওনা টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ফোন আসে। সেই টাকা পাওযার আশায় বাড়িতে থেকে বেরিয়ে নিজেই অপহৃত হলেন ব্যবসায়ী। ১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা আনতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের খপ্পরে পড়েন হুগলির চন্দননগরের ব্যবসায়ী। তাঁকে অপহরণ করে ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করে দুষ্কৃতীরা। তারপর, যা ঘটল তা রীতিমত সিনেমার থ্রিলারকেও হার মানিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন-বামেদের নবান্ন অভিযানে রণক্ষেত্র ধর্মতলা, লাঠিচার্জ-জলকামান, আহত একাধিক
জানাগেছে, চুঁচুড়ার নারায়ণপুর কলোনির প্রিন্টিং ব্যবসায়ী মিঠুন। তিন বছর আগে নদিয়ার মায়াপুরের বাসিন্দা মুকুন্দ দাসকে ১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা পেতেন তিনি। তিনবছর ধরে নানান অছিলায় ওই টাকা দিচ্ছিল না মুকুন্দ। হঠাৎই পরশু রাতে ওই বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য মিঠুন কে মায়াপুরে আসতে বলে। মিঠুন দেরি না করে তাঁর হোন্ডা সিটি গাড়ি নিয়ে টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় মায়াপুরে যান। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক বন্ধুও। তারপরই, বুধবার বিকেলে মিঠুনের বাড়িতে একটি ফোন আসে। কাতর কণ্ঠে মিঠুন জানায় তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। ছে়ড়ে দেওয়ার জন্য ৩০৯ লক্ষ টাকা চাইছে। এত টাকা দিতে না পারার কথা বলায় মুক্তিপণ কমিয়ে ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন-২৫০ কোটি দিয়ে পঞ্চানন বর্মার মূর্তি বানাবে কেন্দ্র, মমতাকে পাল্টা জবাব শাহ-র
এই অবস্থায় চুঁচুড়া থানার পুলিশকে জানায় মিঠুনের পরিবার। খবর যায় চন্দননগর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ কর্তাদের কাছেও। তড়িঘড়ি ঘটনার তদন্ত নেমে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ। মিঠুনকে উদ্ধার করতে ১৫ লক্ষ টাকা সহ একটি গাড়িতে করে রওনা দেয় পরিবার। সেই গাড়িতে ছিল সাদা পোশাকের পুলিশও। শুধু তাই নয়, ভিডিও কল করে মুক্তিপণের ১৫ লক্ষ টাকা দেখাতে বলে অপহরণকারীরা। সেইমতো ভিডিও কলে সেই টাকা দেখানো হয়। এরপরই রীতিমত সিনেমার কায়দায় জাল ফেলে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও, এখনও ফেরার অভিযুক্ত মুকুন্দ দাস।