সংক্ষিপ্ত
- ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ব্য়াপক ক্ষয়ক্ষতি বসিরহাটে
- আকাশে পথে ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- পরিদর্শনের পর প্রশাসনিক বৈঠকও করেন তিনি
- বৈঠকে দুর্গতদের দ্রুত ত্রাণ বিলির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি
বুলবুল বিধ্বস্ত বসিরহাটে পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক আধিকারিকদের বার্তা দিলেন, 'নজর দিন ত্রাণ নিয়ে কারও ক্ষোভ না থাকে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, শুকনো খাবার, দুধ দুর্গতদের হাতে তুলে দিন। ত্রাণ নিয়ে যেন কোনও রাজনীতি না হয়। সবাই যাতে ত্রাণ পায়, তা দেখতে হবে।' বুলবুলের প্রভাবে নিহতদের পরিজনদের হাতে দু'লক্ষ টাকার চেকও তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শনিবার রাতে প্রবল শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে রাজ্যে উপকূলবর্তী এলাকায়। ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে কাকদ্বীপ, নামখানা-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে বসিরহাটেই। ঘটেছে প্রাণহানিও। বুধবার আকাশপথে বসিরহাটে ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর হয় প্রশাসনিক বৈঠক। প্রশাসনিক বৈঠকে ক্ষয়ক্ষতি রিপোর্ট তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'বুলবুলের প্রভাবে নদীবাঁধ ক্ষতি হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হয়ে গিয়েছে পানের বরোজ, শাকসব্জিও।' এদিকে আবার ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সুন্দরবনে যতটা ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল, ততটা ক্ষতি হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য, ম্যানগ্রোভের জঙ্গলই রক্ষা করেছে সুন্দরবনকে। সেই তত্ত্ব মেনেই বসিরহাটেই ম্যানগ্রোভ রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘুর্ণিঝড় বুলবুল আছড়ে পড়ার কেটে গিয়েছে চারদিন। কিন্তু এখনও বসিরহাটে বহু জায়গায় জলের তলায়। বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা। আপাতত দুর্গত এলাকায় বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে কেরোসিন তেল বিলির পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বুলবুল মোকাবিলা প্রশাসনিক আধিকারিকরা যে তৎপরতা দেখিয়েছেন, তাতে খুশি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। প্রশাসনকে দরাজ সার্টিফিকেটও দিয়েছেন তিনি। আগামী শুক্রবার কাকদ্বীপ, বসিরহাট ও নামখানা পরিদর্শনে আসবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।