সংক্ষিপ্ত
- রাতে শিলিগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন এক মহিলা
- দুপুরে তাঁকে খাবার দেওয়া হয়, তাতে পোকা ছিল
- তেমনই অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকেরা
- ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে
চিকিৎসা করাতে গিয়ে আরও অসুস্থ হওয়ার উপক্রম! রোগীর খাবারেই মিলল পোকা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন রোগী কল্য়াণ সমিতি চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য।
শিলিগুড়ি শহরের শীতলা পাড়া এলাকায় থাকেন মহাদেব। মঙ্গলবার রাতে আচমকাই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী সোমা। তড়িঘড়ি তাঁকে শিলিগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে রোগীকে ভর্তি করে নেন চিকিৎসক। বুধবার দুপুরে যথারীতি হাসপাতাল থেকেই সোমাকে খাবার দেওয়া হয়। মহাদেব ঘোষের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে তাঁর স্ত্রীকে যে খাবার দেওয়া হয়েছিল, তাতে একটি পোকা ছিল! শুধু তাই নয়, ঘটনাটি যখন ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্সকে জানান সোমার পরিবারের লোকেরা, তখন তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। সোমা ঘোষের পরিবারের লোকের দাবি, তাঁদের হাত থেকে খাবারটি নিয়ে তড়িঘড়ি ফেলে দিতে যান শিলিগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে কিচেন স্টাফ। তবে শেষরক্ষা হয়নি। বরং ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায় এবং হাসপাতালে শোরগোল পড়ে যায়।
এদিকে ঘটনার পর পোকা-সহ খাবারের থালাটি নিয়ে সটান শিলিগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে সুপারের ঘরে চসে যান সোমা ঘোষের পরিবারের লোকেরা। কিন্তু সুপার তখন হাসপাতালে না থাকায় অভিযোগ জানাতে পারেননি তাঁরা। তবে ফোনে ঘটনাটি জানানো হয় হাসপাতালে মহকুমা হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যকে। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে আবার বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে রোগীদের খাবারে মরা টিকটিকি পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাটি নজরে আসার পরই অবশ্য পদক্ষেপ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে রান্না বন্ধ রেখে খাবার নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষাগারে।