সংক্ষিপ্ত
- সরকারি হাসপাতালে 'চিকিৎসায় গাফিলতি'
- অমানবিকতার বলি হল শিশু
- মারা গেল অর্ধেক ভূমিষ্ঠ অবস্থায়
- প্রতিবাদে অনশনে বসলেন পরিবারের লোকেরা
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তো আকছারই ওঠে। এবার সরকারি হাসপাতালে চরম অমানবিকতার শিকার হল এক শিশু। অর্ধেক ভূমিষ্ঠ অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেল সে! ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালে সামনে রিলে অনশনে বসেছেন স্থানীয় যুবকেরা। ঘটনাস্থল, মুর্শিদাবাদের লালগোলা।
আরও পড়ুন: 'ভুল চিকিৎসা'য় যুবকের মৃত্যু, নার্সিংহোমের সামনে দেহ রেখে বিক্ষোভ পরিবারের
মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানার অন্তর্গত কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতাল। দূরদরান্ত বহু রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন এই হাসপাতালে। কিন্তু পরিষেবা নিয়ে রোগী ও তাঁদের পরিবারের অভিযোগ শেষ নেই। চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে আগেও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন, তাঁদের রীতিমতো দুর্ব্যবহার করেন সেলিনা রহমান নামে এক চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, প্রতিবাদ করলে রাজ্যের শাসকদলের নাম করে রীতিমতো হুমকি দেন তিনি।
জানা গিয়েছে, কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসক সেলিনা রহমানের তত্ত্বাবধানেই ভর্তি হন শাহিনা পারভীন নামে অন্তঃস্বত্ত্বা এক গৃহবধূ। প্রসূতি অপারেশন থিয়েটার নিয়ে যাওয়ার পরই ঘটে বিপত্তি। পরিবারের লোকেদের দাবি, কর্তব্যরত নার্সরা যখন প্রসব করানোর চেষ্টা করছিলেন, তখন শাহিনার শারীরিক অবস্থায় দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। এদিকে গর্ভস্থ শিশুটি ততক্ষণে প্রায় অর্ধেক ভূমিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নার্সরা বারবার ওটি-তে আসতে বললেও, চিকিৎসক সেলিনা রহমান তাতে কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। ফলে যা হওয়ার, তাই হয়। অর্ধেক ভূমিষ্ঠ অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় মারা যায় সদ্যোজাত শিশুটি। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রসূতির পরিবারের লোকেরা। অভিযুক্ত চিকিৎসককে বহিষ্কারের দাবিতে হাসপাতালের সামনে রিলে অনশনে বসে পড়েন স্থানীয় কয়েকজন যুবক।
আরও পড়ুন: 'তাহলে আমার ছেলে-কে মারল কে?' মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন অমিতাভ মালিকের বাবা
কী বলছেন কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? হাসপাতালের বি এম ও এইচ মফিজ শেখ দায়সারা জবাব, যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তদন্ত করে দেখা হবে। আর অভিযুক্ত চিকিৎসক সেলিনা রহমান তো সাংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতেই অস্বীকার করেন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তাঁর চেম্বারের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।