সংক্ষিপ্ত

উৎসবের মরশুমে ওমিক্রন আতঙ্কে এবার বিপন্ন সার্কাস শিল্প। বসিরহাট মহাকুমায় সার্কাস এখনও চলছে, কিন্তু কতদিন চলবে জানে না সার্কাস শিল্পীরা।

উৎসবের মরশুমে ওমিক্রন আতঙ্কে এবার বিপন্ন সার্কাস শিল্প (Circus industry)। বসিরহাট (Basirhat) মহাকুমার  বসিরহাট পৌরসভা ২০, নম্বর ওয়ার্ডের ভ্যাবলা  হাই স্কুল মাঠে  ২০২২ এর নতুন বছরের শুরু থেকেই রোলেক্স সার্কাস শুরু হয়েছিল। এখনও চলছে, কিন্তু কতদিন চলবে জানে না সার্কাস শিল্পীরা (Circus Artist)।

 উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে পর্যটনকেন্দ্র, মেলা, হোটেল-রেস্তোরাঁ ৫০ শতাংশ নিয়ে চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশ  মানা হচ্ছে না। জমজমাট লোকজন নিয়ে বেশ কিছু জায়গায় বিনোদনের জন্য সার্কাস চালু রয়েছে। সেই ছবি ধরা পড়েছে এশিয়ানেট নিউজ বাংলার ক্যামেরায়। প্রতিদিন দুপুর ১,  টা থেকে ৪,টে চারটে থেকে ৭, সাতটা থেকে ১০ প্রতিদিন ৩ করে পাবলিক সো চলছে। সার্কাস শিল্পীরা যেখানে একদিকে রিং মাস্টার, অন্যদিকে জিমনাস্টিক, বারের খেলা বিভিন্ন হাসির কর্মকান্ড নিয়ে চলছে সার্কাস। সার্কাস ময়দানে দেদার সাধারণ মানুষ টিকিট কেটে ঢুকছে। কারও থুতনির নিচে মাক্স, আবার কারও মুখে মাক্স নেই।

সার্কাস ম্যানেজার সঞ্জীব ঘোষ বলেন, 'দীর্ঘ দুই বছর লকডাউন এর জেরে বহু সার্কাস বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু সার্কাস শিল্প ধুঁকছে। যে সব শিল্পীরা এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত তারা অনেকে চলে গেছে অন্য পেশায়। কিন্তু যারা যেতে পারছে না তারা এই শিল্পটাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার নতুন করে অমিক্রণ এর নির্দেশিকা জারি হয়েছে। আমরা রীতিমতো শংকিত। কি করে জীবিকা নির্বাহ করব তাই বাধ্য হয়ে এখনও চালিয়ে যাচ্ছি। আর হয়তো কয়েকদিনের মধ্যেই বন্ধ করে দিতে হবে। ইতিমধ্যে বসিরহাট জেলার পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে ওমিক্রণ নিয়ে মাইকিং প্রচার করা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের হুঁশ ফিরছে না।'

প্রসঙ্গত, সার্কাস শিল্পের ক্ষেত্রে অনেকসময়ই দেখা যায় , এই শিল্পের মাঝেই গড়ে ওঠে তাঁদের পরিবার। কিন্তু ২০০০ সালের দোরগড়ায় যাওবা সার্কাসের তাবু পড়ত কলকাতা সহ জেলায় জেলায়। ডিজিটাইজের ধাক্কায় তা অনেকই কমে গিয়েছিল। তার উপর পশুদের নিয়ে খেলা দেখানো যাবে না, নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর থেকে তা আরও ভগ্নপ্রায় অবস্থায় নেমে আসে। কিন্তু গত দুই কোভিডে বর্ষে একে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছে। অনেকক্ষেত্রে পরিবারের একমাত্র উপার্জন করা মানুষটিও প্রাণ হারালে পথে বসেছে বাকিরাও। তার উপর দীর্ঘ লকডাউনে যারা প্রাণ হারায়নি, তার রোজগার হারিয়েছে। তাই সব মিলিয়ে তীব্র আশঙ্কায় সার্কাস শিল্পীদের পরিবার।