সংক্ষিপ্ত
- করোনাকালে চলছে স্কুল
- সরকারি নিয়ম না মেনে স্কুল
- অভিযোগ মুর্শিদাবাদের লালগোলায়
- স্থানীয় প্রশাসনের অফিস থেকে কিছু দূরেই কাণ্ড
সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কিন্তু সেই বিধিনিষেধকে রীতিমত চ্যালেজ্ঞ জানিয়ে শিশুদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে অর্থের বিনিময়ে রমরমিয়ে চলছে নিয়মিত বেসরকারি বিবিদ্যালয়ে প্রাথমিক স্কুলের ক্লাস। আর এইঘটনা ঘটছে খোদ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের ভবন থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বেই। ঘটনাস্থল ভারত-বাংলা সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদের লালগোলার সীমন্তপুর এলাকা। আর সেই বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলের ছবি তুলতে গিয়ে রীতিমত হুমকির মুখে পড়তে হল এই সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের।
গ্রামের সাধারণ মানুষের রক্ষকের ভূমিকায় থাকা খোদ সরকারি আধিকারিকের মুখেই হুমকি সুর। প্রশ্ন করতেই সংবাদমাধ্যমে প্রতিনিধিকে পুলিশ ডেকে গ্রেফতার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
চরম বিপদজনক! খুদেদের নিয়ে রমরমিয়ে প্রাথমিকের ফিজিক্যাল ক্লাস, প্রশ্ন করতেই পুলিশ ডেকে ক্যামেরা বাজেয়াপ্ত করার হুমকি খোদ বিডিওর। চরম বেনিয়ম কার্যকলাপ নিয়ে স্থানীয় বিডিও সুব্রত ঘোষ এর সঙ্গে তার চেম্বারে বৃহস্পতিবার গিয়ে যোগাযোগ করা হলে উল্টে তিনি সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে হুমকি দিয়ে তেরে এসে পুলিশ ডেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। এখানেই ওই বিডিও থেমে না থেকে, চরম দুর্ব্যবহার করে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে তার দপ্তর থেকে কার্যত ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের পর্যন্ত করে দেন।
করোনা মহামারির কারণে রাজ্য সরকার সম্প্রতি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালুর পরামর্শ দিয়েছে। সেই নির্দেশকে কাজে লাগিয়ে লালগোলার শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ নামের একটি বেসরকার প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল সরকার নার্সারির ক্লাশ শুরু করে দেয়েছিলেন। অন্যান্য ক্লাসের সঙ্গে শরীর শিক্ষার কাজও চলছিল বিপজ্জনকভাবে। নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ক্লাস চলছিল। অথচ রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল বন্ধ রয়েছে রয়েছে মহামারির কারণে। ভার্চুয়াল পরঠন পাঠনের ওপরও ভরসা রাখছেন শিক্ষক পড়ুয়া ও অভিভাবকরা। শর্তসাপেক্ষে ক্লাস হচ্ছে নবম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত। যদিও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অন্য সুরেও কথা বলছেন।
বেসরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিনের-পর-দিন বর্তমানে সরকারি নির্দেশিকা কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে খুদে শিশুদের নিয়ে স্কুলে বহাল তবিয়তে পঠন-পাঠন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্তায় প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি সরকারি পদাধিকারীদের একাংশের মদতেই প্রকাশ্যে দিনের আলোয় এইভাবে ছোট ছোট গ্রামের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের কাছ থেকে কেবলমাত্র কিছু টাকা উপার্জনের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মুনাফা লাভ করতে কচিকাঁচাদের চরম অজানা বিপদের মুখে ফেলে দিচ্ছে? আগামী দিনে যদি কোনো বড় সড়় দুর্ঘটনা এই সকল গ্রামের শিশুদের সঙ্গে ঘটে যায় তাহলে তার দায় কে নেবে??। অন্যদিকে ওই বেসরকারি বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা করিতকর্মা প্রধান শিক্ষক উজ্জল সরকার আজব সাফাই দিয়ে বলেন," কোন সরকারি আধিকারিক তো আমাদের বিদ্যালয় বন্ধ রাখতে এখনো বলেনি। নির্দেশ দিলে তখন ভেবে দেখবো"।