সংক্ষিপ্ত
বছর কয়েক ধরে কলকাতা ও জেলার পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তাই সোমবারের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুদান সংক্রান্ত ঘোষণা করেন কি না, সেই অপেক্ষাতেই আছে পুজো কমিটিগুলি।
কোভিডের কারণে দু’বছর ধরে রাজ্যে ও কলকাতা শহরে দুর্গাপুজোর পরিচিত রেশ পাওয়া যায়নি একেবারেই। বারবারই বিবিধ বিধিনিষেধের বেড়াজালে আজকে গিয়েছে পুজোর আয়োজন। এ বার আর করোনা ভ্রূকুটি আগের ২ বছরের মতো নেই। সেই কারণে এ বারে পুজোয় আগের মতোই মানুষের ঢল নামবে বলে মনে করছেন সকলে। আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না কোনও আয়োজক সংগঠনও।
সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে যাবে দেবীপক্ষ। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের জন্য প্রশাসনিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সেই প্রস্তুতির আবশ্যিক অঙ্গ হিসাবে সোমবার রাজ্যের সব পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বারের বৈঠকে বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে। এত দিন মুখ্যমন্ত্রী কেবল মাত্র কলকাতার পুজো কমিটিগুলির মধ্যে বৈঠক সীমাবদ্ধ রাখতেন। কিন্তু এ বারের বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিতি থাকবে জেলার পুজো কমিটিগুলিরও। এই প্রথম কলকাতার সঙ্গে জেলার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। তাই স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠককে ঘিরে আগ্রহ তৈরি হয়েছে সারা বাংলার। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুজো নিয়ে কী নির্দেশ দেন, সে দিকে তাকিয়ে পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা। পুজো কমিটির কর্তাদের পাশাপাশি এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারাও। জেলার বৈঠকগুলিতে শীর্ষ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে থাকবেন জেলাশাসক স্তরের আধিকারিকরাও।
অধিকাংশ কমিটিগুলিই মুখ্যমন্ত্রীর অনুদান ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে। বছর কয়েক ধরে কলকাতা ও জেলার পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তাই সোমবারের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুদান সংক্রান্ত ঘোষণা করেন কি না, সেই অপেক্ষাতেই আছে পুজো কমিটিগুলি। বাংলার রাজনীতির কারবারিদের মতে, ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট। সেই কথা মাথায় রেখেই এ বছর পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এ বছর সেই অনুদান কত হবে, তা নিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ এ বারের পুজোকে এক বিশেষ রূপ দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের শারদোৎসবকে আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দিয়েছে ইউনেস্কো। তাই সেপ্টেম্বর মাসেই কলকাতায় এক বিরাট র্যালির আয়োজন করেছে নবান্ন। আয়োজনের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগী হয়েছেন। সেই মিছিলের আগেই হচ্ছে এই বৈঠক। সোমবারের বৈঠক দিয়েই উৎসবের মরসুমের সূচনা হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা। তাই সব দিক থেকেই সোমবারের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ এত বড় উৎসবের মরসুম সামাল দিতে পুলিশ প্রশাসনকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারেন মমতা।
আরও পড়ুন-
পুরভোটে রক্তাক্ত আসানসোল, তৃণমূল বনাম বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ
প্রাক্তন কাউন্সিলরের স্বামীর দাদাগিরি, যুবতীকে মারধর, অভিযোগ থানায়
বান্ধবীকে নিয়ে খোশ মেজাজে ঘুরছিলেন বিজেপি নেতা, জুতো খুলে পেটালেন স্ত্রী আর শাশুড়ি!