সংক্ষিপ্ত
করোনা নিয়ে ফের বড় বার্তা দিতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক বৈঠকে আসেন তিনি। সেখান থেকেই করোনা যুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে দিতে দেখা যায় নতুন বার্তা।
ধীরে ধীরে দেখা যাচ্ছে নতুন আশার আলো। গোটা বাংলাজুড়েই নামছে করোনা গ্রাফ। গত কয়েকদিন ধরেই বজায় রয়েছে এই ট্রেন্ড। এদিকে করোনা ফাঁস আলগা হতেই ফের রাজ্যে খুলে গিয়েছে স্কুল-কলেজ। এমতাবস্থায় এবার করোনা নিয়ে ফের বড় বার্তা দিতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে (Chief Minister Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) প্রশাসনিক বৈঠকে আসেন তিনি। সেখান থেকেই করোনা যুদ্ধে (Corona War) মানুষকে সচেতন করতে দিতে দেখা যায় নতুন বার্তা। তিনি বলেন, “মানুষ সচেতন হলে এমনিতেই ভাইরাস দুর্বল হয়ে যাবে। আর কত লড়বে? লড়তে লড়তে ভাইরাসও এক সময় দুর্বল হয়ে যায়।কোভিড প্রতিদিন বিশ হাজার হচ্ছিল। এখন দেড়-দু’হাজারের মধ্যে রয়েছে। এক সময় পজ়িটিভিটি রেট ৩৬ শতাংশের মতো হয়ে গিয়েছিল। সেটা এখন চার শতাংশ। ”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃহঃস্পতিবার রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১,৯১৬ জন। সবমিলিয়ে রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হল ২০, ০২,১৬৯ জন।স্বাভাবিকভাবেই নিম্নমুখী পজিটিভিটি রেটও। সামান্য বাড়ল দৈনিক মৃতের সংখ্যা। প্রাণ হারিয়েছেন, ৩৬ জন। রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২,৬১৪ জন। একইসাথে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৬৮১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে গোটা রাজ্যে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ১৪৫টি টেস্ট হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু সেই তুলনায় নতুন সংক্রমণের গ্রাফ এখন অনেকটাই কম বলে দেখা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নতুন করে সকালের মনে আশার আলো যে সঞ্চার করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন- ভয় ধরাচ্ছে ওমিক্রনের নতুন রূপ, ফের কী বাড়বে সংক্রমণ, বাড়ছে উদ্বেগ
অন্যদিকে গতকালের প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই করোনা টিকা নিয়েও একাধিক পরামর্শ দেন তিনি। এমনকী মানুষের সচেতনা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদেরও টিকাকরণে নতুন করে জোক দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, " এখনও পর্যন্ত রাজ্যে প্রথম ডোজ পেয়ছেন ৯৫ শতাংশ মানুষ। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৭২ শতাংশ মানুষ। ১৫-১৮ বছর বয়সিদের সাত শতাংশ করোনা টিকা পেয়েছেন। এরপরেও প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দ্বিতীয় ডোজ় দিতে হবে।" এদিকে বাংলায় করোনা গ্রাফ থিতু হলেও দেশের অবস্থা এখনও ভালো নয়। সবথেকে বেশি ভয় ধরাচ্ছে কেরল। আর তাতেই নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ।
আরও পড়ুন- হার মানবে সিনেমার গল্পও, জেনে নিন কীভাবে মার্কিন সেনা অভিযানে মারা গেল আইসিস প্রধান