সংক্ষিপ্ত

মার্কিন সেনাবাহিনীর কাউন্টার টেররিজম দলের হাতেই নিহত হয়েছেন ওই দুধর্ষ জঙ্গি নেতা। এমনকী এই আইসিস নেতা বিশ্বের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের তালিকাতেও ছিল সবার উপরে। 

গত কয়েক বছর ধরেই পৃথিবীর বুকে কার্যত নতুন ত্রাসের সঞ্চার করেছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা। এদিকে আইসিস জঙ্গি দমনে প্রতিটা দেশই নিয়েছে নিজ নিজ পদক্ষেপ। এমতাবস্থায় এবার বড় সাফল্য পেল আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, বৃহস্পতিবার সিরিয়ায় মার্কিন অভিযানে আইএসআইএসের শীর্ষ নেতা নিহত (Top ISIS leader killed) হয়েছেন। মার্কিন সেনাবাহিনীর কাউন্টার টেররিজম (U.S. Army Counterterrorism) দলের হাতেই নিহত হয়েছেন ওই দুধর্ষ জঙ্গি নেতা। এমনকী এই আইসিস নেতা বিশ্বের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের(Most Wanted Terrorists) তালিকাতেও ছিল সবার উপরে। 


এদিন এই ঘটনার কথা জানিয়ে একটি টুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে তিনি বলেন, 'গত রাতে আমার নির্দেশে ইউ.এস. সশস্ত্র বাহিনী সফলভাবে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। আমাদের সেনার সাহসিকতা প্রশংসনীয়। আমরা আইএসআইএস নেতা আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরাইশিকে যুদ্ধক্ষেত্রে হত্যা করেছি। তিনি তার বিবৃতিতে আরও বলেন, 'অপারেশন থেকে সব আমেরিকান নিরাপদে ফিরে এসেছে। ঈশ্বর আমাদের সৈন্যদের রক্ষা করুন।' প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আল-হাশিমি আল-কুরাইশি ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এদিকে যে অঞ্চলে সে মার্কিন সেনার হাতে নিহত হয় সেই একই অঞ্চলে কিছুদিন আগে মার্কিন অভিযানে আবু বকর আল-বাগদাদিও নিহত হন বলে জানা যায়।


আরও পড়ুন-বাড়ছে চাপানউতর, মুকুল রায়-সহ দলবদল করা ৫ বিধায়ক সরকারি নথিতে এখনও বিজেপিতেই

এদিকে গত কয়েক বছরে সিরিয়া ও ইরাকে আইসিসের ক্ষমতা অনেকটাই কমেছে। বর্তমানে দুই দেশেই নতুন করে পুনরুজ্জীবত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে এই নৃশংস জঙ্গী গোষ্ঠী। তার মধ্যেই দলের প্রধানের এই হত্যাকাণ্ড যে তাদের উপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করবে তা বলাই বাহুল্য। অন্যদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবিও একটি বিবৃতি জারি করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, মিশনটি সফল হয়েছে এবং কোনও আমেরিকান হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে ওই এলাকায় আইসিস জঙ্গিদের সঙ্গে প্রায় দু ঘন্টার বেশি সময় ধরে সংঘর্ষ চলে মার্কিন বাহিনীর। প্রথমে মার্কিন সেনা  সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে একটি বাড়িতে হেলিকপ্টারে করে হামলা চালায়। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে বন্দুকধারীদের সাথে সংঘর্ষ হয় তাদের। ত মার্কিন সেনার মুখে পড়ে একটি আত্মঘাতী হামলার কারণেই প্রাণ যায় তাতেই প্রাণ যায় আইসিস প্রধানের। তাতে তার নিজের স্ত্রী সন্তান সহ আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মৃতদের মধ্যে ৬ কিছু শিশু ও মহিলাও রয়েছে বলে খবর। 

আরও পড়ুন- করোনা যুদ্ধে নয়া মাইলফলক, কমেছে বেকারত্ব, ভোটের মুখে ৫ বছরের সাফল্যের খতিয়ান যোগীর