সংক্ষিপ্ত
পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের জনসভা থেকে আবারও কর্ম সংস্থানের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন যেখানে গোটা দেশে কাজের সুযোগ কমেছে সেখানে এই রাজ্যে কর্ম সংস্থান বেড়েছে। তিনি আরও বলেন , 'আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাকে এক নম্বর নিয়ে যাব এটাই আমার চ্যালেঞ্জ।'
পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের জনসভা থেকে আবারও কর্ম সংস্থানের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন যেখানে গোটা দেশে কাজের সুযোগ কমেছে সেখানে এই রাজ্যে কর্ম সংস্থান বেড়েছে। তিনি আরও বলেন , 'আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাকে এক নম্বর নিয়ে যাব এটাই আমার চ্যালেঞ্জ।' এদিনের অনুষ্ঠানেও কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণ-তরুণীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়।
খড়গপুর স্টেডিয়ামে সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টাটা স্টিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব পাল। এদিনই টাটা মেটালিক্সের একটি নতুন ইউনিটের উদ্বোধন করেন মমতা। তিনি বলেন বলেন এখানে টাটা মেটালিক্স ৬৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এখানে কয়েক হাজার মানুষ চাকরি পাবেন। এর আগেও একটি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুল করে টাটাদের বিনিয়োগের কথা বলে ছিলেন। যাইহোক এদিন মমতা জানিয়েছেন টাটাদের এই বিনিয়োগ রাজ্যের কর্ম সংস্থানের মানচিত্রে নতুন দিশা দেখাবে।
এদিন পুজোর মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আরও একবার রাজ্যের তরুণ তরুণীদের কর্মসংস্থানের জন্য নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিলেন। তিনি রাজ্যের বেকারদের চা-বিস্কুট, ঘুঘনি, তেলেভাজার ব্যবসা করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, 'আমার কথা শুনে অনেকেই হাসেন বা টোন টিটকারি দেন। কিন্তু আপনি এই ব্যবসা করলে লাভ করবেন।' মমতা আরও বলেন, এক হাজার টাকা বিনিয়োগ করে একটা কেটলি কিনুন আর কয়েকটি মাটির ভাঁড় নিন। সঙ্গে কিছু বিস্কুট। ধীরে ধীরে এটা বাড়বে। প্রথম সপ্তাহে শুধু চা বিস্কুট বিক্রি করুন। তার পরে সঙ্গে একটু ঘুগনি আর তেলেভাজা নিয়ে বসতে পারেন। পুজোর আগেই যদু শুরু করতে পারেন তাহলে দেখবেন দিয়ে কোলাতে পারবেন না। মমতা আরও বলেন কোনও কাজই ছোট নয়। পাশাপাশি এদিন তিনি কাশফুল দিয়ে লেপ বালিশ তৈরির পরামর্শও দিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন পুজোপ আগেই কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মোট ৩০ হাজার জনের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। বীরভূম মালদা, মুর্শিদাবাদের ছেলে মেয়েদের অনলাইনে এই নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া আর পুরুলিয়ার জন্য একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করেন।