সংক্ষিপ্ত

সৌগত রায় বলেন, বর্তমানে গোটা দেশেই কংগ্রেস দুর্বল হয়ে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় কংগ্রেসের কোনও আসন নেই। পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন তারা।

তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোধ্যায় (Mamata Banerjee) কংগ্রেসের (Congress) সমালোচনা করার মাত্র এক দিন পরেই মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy)। শুক্রবার মমতা কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেছিনে শতাব্দী প্রাচীন দলটি বিশ্বাসযোগ্যতা পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেছে। এদিন সৌগত রায় বলেন কংগ্রেসের এবার আত্মসমালোচনা করার জরুরি। 

সৌগত রায় বলেন, বর্তমানে গোটা দেশেই কংগ্রেস দুর্বল হয়ে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় কংগ্রেসের কোনও আসন নেই। পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন তারা। অন্যদিকে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনেও ধরাসায়ী হয়েছে কংগ্রেস। বাংলায় তৃণমূলের শক্তিঘাঁটি থাকলেও কোনও রাজ্যেই শক্তিশালী নয় কংগ্রেস। এই অবস্থায় কংগ্রেসের আত্নদর্শন জরুরি হয়ে পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

অন্যদিকে কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য এইদিনই প্রদেশ সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী একহাত নেন তৃণমূল নেত্রীকে। তাঁর প্রশ্ন কেন মমতা কংগ্রেস নিয়ে মন্তব্য করছেন? কংগ্রেস না থাকলে যে তাঁর মত নেত্রীর জন্মই হত না- এটা তাঁর মনে রাখা উচিৎ। ১৯৭০ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের রাজনৈতিক জীবন শুরুই হয়েছিল কংগ্রেসের হাত ধরে। তিনি প্রথম সাংসদ হয়েছিল কংগ্রেসের প্রতীকে জিতে। অধীর রঞ্জন চৌধুরী গোয়া নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধনা করেন। বলেন বিজেপিকে খুশি করার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি কংগ্রেসকে দুর্বল করেছেন। গোয়ারের কংগ্রেসের হারের জন্য কিছুটা হলেও দায়বদ্ধতা রয়েছে মমতার- এটা সবাই জানে বলেও মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী। 

এদিন অধীর চৌধুরী আরও বলেন সারা ভারতে কংগ্রেসের ৭০০ জন বিধায়ক রয়েছে। কিন্তু দিদির কতজন বিধায়ক রয়েছে- সেই প্রশ্নও করেন অধীর। তিনি বলেন বিরোধীদের মোট ভোটের ২০ শতাংশ এখনও রয়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে। তৃণমূলের কী সেই পরিমাণ ভোট রয়েছে?  বিজেপিকে খুশি করার জন্য মমতা ও তৃণমূল কংগ্রেস  গেরুয়া শিবিরের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। পাশাপাশি অধীর মমতাকে নিশানা করে বলেন- সকলের সব প্রশ্নের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন তিনি।