সংক্ষিপ্ত
- এগারো বছরের দাম্পত্যেও সন্তানসুখ অধরা
- নার্সিংহোম থেকে শিশুকে কেনার অভিযোগ দম্পতির অভিযোগ
- গ্রেফতার অভিযুক্ত দম্পতি ও নার্সিংহোমের এক কর্মী
- চাঞ্চল্য বর্ধমানে
নিঃসন্তান দম্পতির কোলে সন্তান দেখে সন্দেহ হয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতটাই সন্দেহ হয় যে, পুলিশের খবর দেন তাঁরা। তদন্তে বর্ধমান শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শিশু পাচারচক্রের হদিশ মিলল। অভিযুক্ত দম্পতি ও ওই বেসরকারি হাসপাতালের একটি টেকনিশয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে আক্রান্ত আবগারি দপ্তরের আধিকারিক, মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা
কাটোয়ার পানুহাট দিঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ বিশ্বাস পেশায় কাঠের মিস্ত্রি। তাঁর অনুশ্রী ও বৃদ্ধাকে মাকে নিয়ে তিনজনের সংসার। বিয়ের এগারো বছর পেরিয়ে গেলেও ওই দম্পতির কোনও সন্তান হয়নি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই হঠাৎ করে এক ফুটফুটে বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল অনুশ্রী। কেউ জিজ্ঞেস করলেই বলছিলেন বাচ্চাটি তাঁর! প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা করিয়ে হয়তো সন্তানের বাবা-মা হয়েছেন ওই দম্পতি। কিন্তু তাতেও সন্দেহ যায়নি। কারণ ওই গৃহবধুর শরীরের সন্তানধারণের কোন লক্ষণই দেখা যায়নি। অন্তত তেমনই দাবি স্থানীয় মহিলাদের। চাইল্ড লাইনে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার রাতে কাটোয়ার পানুহাট দিঘিরপাড়া এলাকায় প্রদীপ বিশ্বাসের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। জানা গিয়েছে, পুলিশকে ওই দম্পতি বর্ধমান শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নথি দেখান। তাতে দেখা যায়, ২৮ জুন ওই শিশুটি জন্মগ্রহণ করেছে। এমনকী, নথিতে শিশুটির বাবা-মা হিসেবে প্রদীপ বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী অনুশ্রীর নাম লেখা ছিল। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় ওই দম্পতি স্বীকার করেছেন, নার্সিংহোম থেকে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই শিশুটিকে কিনেছেন। সেই সূত্র ধরেই বর্ধমান শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের এক টেকনিশানকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে আবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরে উল্টো ঘটনা ঘটেছিল। স্রেফ নিজের ভরণপোষণের জন্য ২০ দিনের কন্যাসন্তানকে বিক্রি করে দেন এক মহিলা। শেষপর্যন্ত পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পায় শিশুটি। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।