সংক্ষিপ্ত

  • গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ২,২১৬ জন
  • বৃহস্পতিবার সংখ্যাটা ছিল  ২,৪৩৬ জন
  • এদিন করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১৮৭৩ জন
  • গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১৫ হাজার ৪৮৫ জনের করোনা পরীক্ষা

শুক্রবারও পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গেল। তবে বৃহস্পতিবার রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ রেকর্ড গড়েছিল।  একদিনে বাংলায় সংক্রামিত হয়েছিলেন ২৪৩৬ জন। সেই সংখ্যা কিছুটা কমল এদিন। শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে নতুন করে ২২১৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা  ৫৩ হাজার ৯৭৩।পাশাপাশি রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্য হয়েছে ৩৫ জনের। যার পলে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৯০ জনের।

বৃহস্পতিবারের বুলেটিনে জানা গিয়েছিল, রাজ্যে একদিনে সবথেকে বেশি ২০০৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এদিন সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৭৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন রাজ্য। 

পরিসংখ্যান বলছে রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনায় চিকিৎসাধীন ১৯ হাজার ১৫৪ জন।  বাংলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৩ হাজার ৫২৯ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার  হয়েছে ৬২.১২%। কয়েক দিন আগে বাংলায় ডিসচার্জ রেট ৬০ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা বাড়ায় ফের ডিসচার্জ রেট ৬২ শতাংশের উপরে উঠেছে।

আরও পড়ুন: দেশের দুই মেট্রো শহর দিল্লি ও মুম্বইতে ক্রমে কমছে সংক্রমণ, পিছিয়ে নেই মোদীর শহর আহমেদাবাদও

এদিন শুধু কলকাতাতেই সংক্রমিত হয়েছে ৬৯৯ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। এর পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এখানে  একদিনে সংক্রমিত ৫৬৭ জন আর  মৃত্যু ৬ জনের । দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১৪৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। হাওড়ায় একদিনে করোনার আক্রান্ত ১৮৯, মৃত ৩।

এদিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে সংক্রমণ বেশি দার্জিলিংয়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ জন। তারপরেই রয়েছে জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা। জলপাইগুড়ি ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ৬৬ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। মালদায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ জন।

আরও পড়ুন: ভারতে মাত্র ৬৮ টাকায় মিলবে করোনার ওষুধ, ‘সিপলেঞ্জা’ নিয়ে আসছে দেশের বৃহত্তম ওষুধ সংস্থা

 গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১৫ হাজার ৪৮৫ জনের করোনা টেস্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত  বাংলায় মোট ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫১২ টি করোনা টেস্ট হয়ে গেছে। প্রতি দশ লক্ষ জনঘনত্বের নিরিখে টেস্টের সংখ্যা ৮৫৯৫। রাজ্যের ৫৬টি ল্যাবে হচ্ছে পরীক্ষা। ৮১টি হাসপাতালে চলছে করোনা রোগীদের  চিকিৎসা। বর্তামনে রাজ্যের ৫৮২টি সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে মোট ৩৪০২ জন রোগী রয়েছেন।

এদিন করোনা আক্রান্ত হলেন দক্ষিণ দমদম পৌরসভার প্রশাসনিক প্রধান পাঁচু রায়। গাড়ির ড্রাইভার আক্রান্ত হওয়ায়  তিনি পরীক্ষা করান। সেই রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এদিকে এনআরএস হাসপাতালে একদিনে আক্রান্ত  হলেন ৩৯ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৯ চিকিৎসক, ৭ নার্স ও ৬ স্বাস্থ্যকর্মী। করোনা পজিটিভ ১৭ জন রোগীও। গত চার দিনে এনআরএস হাসপাতালে মোট করোনা আক্রান্ত ১৩৬ জন। 

শুক্রবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কলকাতা পুলিশের  এক কর্মীরও। মৃত পুলিশ কর্মীর নাম অভিজ্ঞান মুখোপাধ্যায়। তিনি ট্র্যাফিক পুলিশে ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। এদিন সকালে আনন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।