- Home
- India News
- দেশের দুই মেট্রো শহর দিল্লি ও মুম্বইতে ক্রমে কমছে সংক্রমণ, পিছিয়ে নেই মোদীর আহমেদাবাদও
দেশের দুই মেট্রো শহর দিল্লি ও মুম্বইতে ক্রমে কমছে সংক্রমণ, পিছিয়ে নেই মোদীর আহমেদাবাদও
- FB
- TW
- Linkdin
দেশের এই ৩ মেগাসিটি দিল্লি, মুম্বই ও আহমেদাবাদে এবং দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি শহরে করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী।দাবি করলেন দিল্লির এমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া।
ভারতে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, মুম্বই শহর ও শহরতলিতে। দেশে সংক্রমণ শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যায় সবাইকে ছাড়িয়ে উপরে উঠে যায় মহারাষ্ট্র। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী মহারাষ্ট্রে মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫০২ জন।
মহারাষ্ট্রের পরেই বৄদ্ধির হার সর্বোচ্চ ছিল দিল্লিতে। রাজধানীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৩৬৪। এখন যদিও আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে তামিলনাড়ু। উদ্বেগ ছিল গুজরাতের আমদাবাদ সংক্রমণ নিয়েও।
তবে রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, এই তিন শহরেই সংক্রমণ বৄদ্ধির গ্রাফ নিম্নমুখী। তিনি বলেন, ‘‘দেশের বিভিন্ন রাজ্য বা শহরে বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ শিখরে পৌঁছবে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে। তেমনই একটি রাজ্য দিল্লি, যেখানে সংক্রমণের হার কমছে। মুম্বই আমদাবাদ এবং দক্ষিণের কিছু শহরেও একই ভাবে সংক্রমণ কমতির দিকে। মনে হচ্ছে এই সব শহর সংক্রমণের শীর্ষে পৌঁছে এ বার নামতে শুরু করেছে।’’
তবে কয়েকটি শহর ছাড়া দেশের অন্যত্র সংক্রমণ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ রয়েছে বলেই মনে করেন এমস ডিরেক্টর। উদাহরণ হিসেবে বিহার, অসমের কথাও বলেছেন তিনি। একই সঙ্গে অবশ্য তাঁর সাবধানবাণী, সংক্রমণ কমছে মানেই ঢিলেঢালা মনোভাব নেওয়া যাবে না। বরং আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।
করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যানেও দেখা যাচ্ছে মুম্বই, দিল্লি, আহমেদাবাদে সংক্রমণ পড়তির দিকে। বাণিজ্য নগরীতে জুন মাসের শেষের দিকেও যেখানে প্রতিদিন ২০০০ করে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছিলেন, এখন সেখানে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে হাজারের আশেপাশে।
পরিসংখ্যানের হিসেবে মুম্বইয়ের চেয়েও ভাল অবস্থায় দিল্লি। জুন মাসের শেষের দিকে রাজধানীতে প্রতিদিন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল প্রায় ৪ হাজার করে। এখন সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ১০০০-এর আশেপাশে।
আমদাবাদের পরিসংখ্যানও ইতিবাচক। গুজরাতের এই শহরে এখন প্রতিদিন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা দু’শোর কম-বেশি।
তিন শহরের এই লেখচিত্রের সঙ্গে কলকাতার চিত্র কার্যত উল্টো। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তার জেরে ফের সপ্তাহে দু’দিন করে সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটতে হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, জুন মাসের শেষের দিকে যেখানে প্রতিদিন নতুন সংক্রমণ বৄদ্ধির সংখ্যা ছিল দু’শোর কাছাকাছি। এখন সেখানে প্রতিদিন বাড়ছে সাড়ে ছ’শো থেকে সাতশোর মতো।
এদিকে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যায় ফ্রান্সকে পিছনে ফেলে বিশ্বে ছ'নম্বরে উঠে এল ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ব্রিটেন, মেক্সিকো এবং ইতালিতে এখনও পর্যন্ত ভারতের থেকে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
যদিও মোট জনসংখ্যার নিরিখে ভারতে করোনায় সংক্রমণ এবং মৃতের হার অনেক দেশের থেকে খুবই কম বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার হর্ষ বর্ধন। শুক্রবার সাংবাদিকদের তিনি জানান, এই মুহূর্তে দেশে প্রতি ১০ লক্ষ আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৮৬৪ জন এবং ২১ জনের প্রাণ হারিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে দেশে গড় সুস্থতার হার ৬৩.৪৫ শতাংশ এবং ২.৩ শতাংশ মানুষ এই মারণ ভাইরাসের বলি হয়েছেন।
এদিকে, দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনার প্রবল প্রতাপ কীভাবে রোখা সম্ভব, তা নিয়েই ফের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তিনি।জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।