সংক্ষিপ্ত

  • আন্দামান সাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণীঝড় 
  • নাম দেওয়া হয়েছ যশ
  • নাম দিয়েছে ওমান 
  • এগিয়ে আসতে পারে বাংলার দিকে 
     

ঘূর্ণীঝড় তাউতের পর এবার ভারতের দিকে চোখ রাঙাচ্ছে আরও একটি ঘূর্ণীঝড়। নাম যশ।  নামটি দিয়েছে ওমান।  আগামী ২৬ মে সেটি বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। তেমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইন্ডিয়ান মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (IMD)। আবহাওয়া দফতের বিজ্ঞানী আর কে জেনামনি জানিয়েছেন ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলে আগামী ২৫ মে সন্ধ্যে থেকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দীঘা উপকূল দিয়েই তা স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে।

আকাশপথে Cyclone Tauktae বিধ্বস্ত গুজরাট ও দিউ সফর, প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করলেন ক্ষতিপুরণ .. 

জেনামনি বলেন আন্দামান সগরের নিকটবর্তী বঙ্গোপসগরে একটি তৈরি হচ্ছে একটি নিম্নচাপ । ২২ মে থেকে সেটি সক্রিয় হয়ে ঘূর্ণীঝড় পরিচালনা করতে পারে। পরের দিন এটি উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে শুরু করবে। আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছেন আগামী ২৩ মে আন্দামান সগরে ও পূর্ব বঙ্গোপসগার সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। আর তাই যদি হয় তাহলে ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার। 

মুম্বইয়ে ঘূর্ণীঝড় তাউতের ভাইরাল ভিডিও, সত্যি কি মুম্বই না মদিনা, কী বলছে ফ্যাক্টচেক ... R

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে পরবের দিন অর্থাৎ ২৩ মে আরও শক্তি সঞ্চয় করবে। প্রায় ৭০ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসবে। ২৪-২৫ মে বঙ্গোপসাগরের প্রধান অংশ ও  পশ্চিম ওড়িয়ার দিয়ে এগিয়ে আসবে আর ২৫-২৭ মে বাংলাদেশ উপকূলে গিয়ে পৌঁছাবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতার আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জিকে দাস জানিয়েছেন ২২ মে উত্তর আন্দামান সাহরও  পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ  তৈরি হবে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় নিন্মচাপ বলয়টি শক্তি সঞ্চল করে ঘূর্ণীঝড়ে পরিণত হবে। তারপর ধীরে ধীর তা এগিয়ে যাবে। ২৬ মে সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে পৌঁছে যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ২৪ মে থেকে মৎসজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও প্রবল বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতর। 

Cyclone Tauktae: আরব সাগর থেকে উদ্ধার দেহ, নৌবাহিনী অভিযানে

বর্ষার আগে এপ্রিল ও মে মাসে সাধারণত পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলে এজাতীয় ঘূর্ণীঝ়ড় তৈরি হয়। তবে ঘূর্ণী ঝড় তাউতের কারণে এখনও আতঙ্ক রয়েছে গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে উপকূলে। তারই মধ্যে নতুন করে তৈরি হচ্ছে আরও একটি ঘূর্ণীঝড়। গতবছরই ২০ মে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল আমফান। যার জেরে লন্ডভন্ড হয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাক। সেই স্মৃতি এখনও অক্ষত রয়েছে বাংলার মানুষের মনে। ২০০৯ সালে ২৫ মে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণীঝড় আয়লা।