সংক্ষিপ্ত
সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ। এদিন তিনি বলেন দিনের আলো পড়ে গেলেও যাতে উদ্ধারকাজ চালানো যায়, সেজন্য আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে খবর। শিলিগুড়ির কাছে ময়নাগুড়ির (Maynaguri near Siliguri) ডোমহনিতে উল্টে গিয়েছে পাটনা-গুহায়াটিগামী বিকানের এক্সপ্রেস (Patna-Guwahati-bound Bikaner Express)। এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কামরায় আটকে রয়েছে শতাধিক যাত্রী। পাশাপাশি ১০ জন যাত্রীকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলা শাসক।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা (Darjeeling MP Raju Bista) বলেন তিনি গোটা ঘটনার (Rail Accident) খবর নিয়েছেন। ডিআরএম আলিপুরদুয়ার (Alipurduar DRM) ও ডিআরএম জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri DRM)- দুজনের সঙ্গেই কথা হয়েছে তাঁর। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ। এদিন তিনি বলেন দিনের আলো পড়ে গেলেও যাতে উদ্ধারকাজ চালানো যায়, সেজন্য আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে দ্রুত কাজ করছে। স্থানীয়রাও হাত লাগিয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এদের মধ্যে অধিকাংশেরই অবস্থা গুরুতর।
এদিন উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। উদ্বিগ্ন মমতা জানতে চান উদ্ধারকার্যের বিষয়ে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দেন মমতা। রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের দ্রুত এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, এই দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ডোমহনির কাছে উল্টে গিয়েছে বিকানের এক্সপ্রেসের ৪ থেকে ৫টি বগি। প্রতিটি বগিই কার্য দুমড়ে মুচরে মাঠের পাশে পড়ে রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। যে সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে তখন ট্রেনের গতিবেগ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ছিল বলে জানা যাচ্ছে। তবে কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটল তা এখনও জানা যায়নি।
এদিকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরাগুলি যেহেতু একেবারে দুমরে মুচরে গিয়েছে সেই ক্ষেত্রে সহজ প্রক্রিয়ায় যে উদ্ধার করা যাবে না তা পরিষ্কার। সেই ক্ষেত্রে কামরাগুলিকে কেটে যাত্রীদের উদ্ধার করতে হতে পারে। প্রয়োজনে সাহায্য নেওয়া হতে পারে গ্যাস কাটারের। ইতিমধ্যেই প্রশাসন ও রেলের তরফে উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরা এলাকায় পৌঁছে কী প্রক্রিয়ায় মূল উদ্ধারকাজ হবে তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন।
রেলের এক কর্তা জানিয়েছেন, ডিআরএম-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুর্ঘটনাস্থলটি প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায় সুযোগ সুবিধে অনেকটাই কম পাওয়া যাবে। শহর ও প্ল্যাটফর্মের যে সুবিধেগুলি পাওয়া যায় সেই সুবিধেগুলি সেখানে পাওয়া যাবে না। তবে বিশেষ আলোর ব্যবস্থা করে উদ্ধার করা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন রেলের অ্যাম্বুলেন্সও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। রেলের বেশ কয়েকটি দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বলেও জনিয়েছেন তিনি।