সংক্ষিপ্ত
পাটনা থেকে গুয়াহাটিগামী দূরপাল্লারট ট্রেনটি বিকেল পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার পর ট্রেনের চার থেকে পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। প্রতিটি কম্পার্টমেন্টেরই যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন একটি কামরা রেল লাইন থেকে ছিটকে জলে পড়ে যায়। রেল সূত্রের খবর সব মিলিয়ে প্রায় ১২টি কামরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭টি কামরা। ট্রেনে প্রায় ৭০০ জন যাত্রী ছিলেন।
ময়নাগুড়িতে লাইনচ্যুত (Maynaguri train accident) হয়েছে পাটনা-গুয়াহাটি বিকান এক্সপ্রেস (Patna- Guwahati Bikan Express)। দূরপাল্লার এই ট্রেনটি ময়নাগুড়ির দোমোহিনীর কাছে উল্টেযায়। এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল। রেল কর্তৃপক্ষের অনুমান, সিগন্যালে কোনও সমস্যা ছিল না। লাইনের সমস্যা থেকেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সব দিক খতিয়ে দেখতেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল। এদিন ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা তিন থেকে বেড়ে হয়েছে চার। এই ঘটনায় আহতের সংখ্যা ৪০। হতাহতের সংখ্য়া আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আহতদের জপাইগুড়ি ও ময়নাগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রায় ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে।
পাটনা থেকে গুয়াহাটিগামী দূরপাল্লারট ট্রেনটি বিকেল পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার পর ট্রেনের চার থেকে পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। প্রতিটি কম্পার্টমেন্টেরই যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন একটি কামরা রেল লাইন থেকে ছিটকে জলে পড়ে যায়। রেল সূত্রের খবর সব মিলিয়ে প্রায় ১২টি কামরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭টি কামরা। ট্রেনে প্রায় ৭০০ জন যাত্রী ছিলেন।
অন্যদিকে শীতের বেলায় দ্রুত অন্ধকার নেমে যাওয়ায় উদ্ধারকাজে ব্যাহত পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে রেল। রেলের এক কর্তা জানিয়েছেন, ডিআরএম-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুর্ঘটনাস্থলটি প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায় সুযোগ সুবিধে অনেকটাই কম পাওয়া যাবে। শহর ও প্ল্যাটফর্মের যে সুবিধেগুলি পাওয়া যায় সেই সুবিধেগুলি সেখানে পাওয়া যাবে না। তবে বিশেষ আলোর ব্যবস্থা করে উদ্ধার করা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন রেলের অ্যাম্বুলেন্সও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। রেলের বেশ কয়েকটি দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বলেও জনিয়েছেন তিনি।
যাইহোক এদিনের ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জেলা শাসক। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর দুর্ঘটনায় প্রথমে ১০ জনকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আরও বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্যাস কাটার দিয়ে ট্রেনের বগি কেটে উদ্ধার কাজ চলছে। উদ্ধারকাজে রাজ্য প্রশানের তরফ থেকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন দুর্ঘটনা নিয়ে তিনি বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়েছেন। গুয়াহাটি- বিকানির এক্সপ্রেস লাইনচচ্যুত হয় দোমোহিনীর কাছে। প্রথম স্থানীয় বাসিন্দারাই উদ্ধার কাজ শুরু করেন। পরবর্তী সময় আসে পুলিশ ও রেলের উদ্ধারকারী দল।