সংক্ষিপ্ত

শেষ হয়ে গেল একটি অধ্যায়। জঙ্গলমহলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে বিশ্বের প্রবীণতম বাঘ হিসেবে রেকর্ড তৈরি করা রাজা। যারা দেখেছে তারা প্রত্যেকেই বলেছে রাজা-র মতই ছিল মেজাজ।

শেষ হয়ে গেল একটি অধ্যায়। জঙ্গলমহলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে বিশ্বের প্রবীণতম বাঘ হিসেবে রেকর্ড তৈরি করা রাজা। যারা দেখেছে তারা প্রত্যেকেই বলেছে রাজা-র মতই ছিল মেজাজ। মাদারিহাট সাউথ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রের ত্রাস ছিল রাজা। সর্বদাই দাপিয়ে বেড়াত। দীর্ঘ ১৫ বছর এটাই ছিল রাজার ঠিকানা। এই কেন্দ্রের একমাত্র রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার যার বয়স ছিল প্রায় ২৬ বছর। বিশ্বের প্রবীণতম বাঘের তকমাও রয়েছে তাঁর মাথায়। জলদাপাড়া বনদফতর জানিয়েছে রবিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় রাজার। মৃত্যুর কারণ জানতে করা হবে ময়নাতদন্ত। 

জলদাপাড়া বনদফতর জানিয়েছে খয়েরবাড়ি উদ্ধার কেন্দ্রে রাজার  প্রথম পা পড়ে যখন তার  ১১ বছর বয়সে। সেটা ছিল ২০০৮ সাল। একটি কুমিরের সঙ্গে জায়গা দখলের লড়াইয়ে বেধেছিল বাঘটির। তাতেই  ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার রাজার দেহ। শরীর জুড়ে ১০টির বেশি আঘাতচিহ্ন ছিল। সেই অবস্থাতেতেই সেটিকে নিয়ে আসা হয়েছিল ব্যাঘ্র প্রকল্প কেন্দ্রে।  প্রাণপণ সেবা-শুশ্রূষা করে রাজাকে সেবার বাঁচিয়ে তুলেছিলেন পশু চিকিৎসক ডাঃ প্রলয় মন্ডল, সঙ্গে ছিলেন ওয়াইল্ডলাইফ গার্ড শ্রী পার্থসারথি সিনহা ও অন্যান্য বনকর্মী। 

তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৫ বছর। চলতি বছরেই ২৬-এ পা দিয়ে ভারতের প্রবীণতম জীবিত বাঘেদের তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছিল রাজা। ভারতে বন্দিদশায় বাঘেদের গড় আয়ু সাধারণত ২২ বছরই হয়। সেখানে রাজার বয়স অনেকটাই বেশি ছিল বলে দাবি বনদফতরের কর্তাদের।

সোমবার সকালে বনদফতরের কর্মীদের শোকস্তব্ধ করে চিরবিদায় নিয়েছে রাজা। রাজার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বনমন্ত্রী  জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রাজার বেঁচে ওঠার, এবং নিজের বিচরণভূমির বাইরে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার, কাহিনী পশ্চিমবঙ্গ বনবিভাগের সংরক্ষণের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলেও জানিয়েছে জলদাপাড়া বদফতর। 
.