সংক্ষিপ্ত
- বিধানসভা নির্বাচনের আগেই মুর্শিদাবাদে বেসামাল তৃণমূল নেতৃত্ব
- সৌমিক হোসেনের অপসারণ চেয়ে দিনভর তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন
- 'হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী একসঙ্গে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব'
- মুর্শিদাবাদে পিকের স্ট্র্যাটিজি নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন ওয়াকিবহাল মহল
বিধানসভা নির্বাচনের আগেই মুর্শিদাবাদে বেসামাল তৃণমূল নেতৃত্ব। তাহলে কি তৃণমূলের পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটি জিস্ট পিকের করিশমা ফিকে হচ্ছে মুর্শিদাবাদে। এনিয়েই জোর জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে। বিরোধী কংগ্রেস কিংবা বিজেপি নয় রীতিমতো দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কো-অর্ডিনেটর কথা রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের একদা সাধারণ সম্পাদক সৌমিক হোসেনের অপসারণ চেয়ে শুক্রবার দিনভর চালালো এই তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন।
আরও পড়ুন, যোগী রাজ্যে জেগে উঠল 'মৃত মেয়ে', ১২ বছর আগে খুন হয়ে এখন জমিয়ে সংসার করছে সে
জেলার ইসলামপুর এলাকায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে শয়ে শয়ে তৃণমূল কর্মী দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে'সৌমিক হটাও'। আর এই দৃশ্য ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। মূলত একাধিক অভিযোগ ওঠে সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের মধ্যে থেকে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অর্থের বিনিময়ে রানীনগর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ৯ বছরের দায়িত্বে থাকা আমিনুল হাসান বাপি কে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আর এই যাবতীয় ঘটনার পেছনে রয়েছেন সৌমিক হোসেন বলেই তাঁদের দাবি। যদিও এই ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে সমস্ত অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। তিনি স্পষ্ট তো বলেন, 'এ সকল অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন আসলে যারা এই অভিযোগ করছে তারা আদতে কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমর্থক। তারা সামনের বিধানসভা ভোটে বিরোধীদের সুবিধা পাইয়ে দিতেই এই পরিকল্পনা করেছে। দলীয় স্তরে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে'।
আরও পড়ুন, 'আপনি কি এখনও গভীর নিদ্রায় ঘুমিয়ে', হাথরস গণধর্ষণ কাণ্ডে যোগীকে প্রশ্ন নুসরতের
যদিও এর পরেও কোন মতেই এদিনের বিক্ষোভকারীরা নিজেদের জায়গা থেকে একচুল করতে নারাজ। তারা পরিষ্কারভাবে জানাই কোনভাবেই বাইরে থেকে সৌমিক হোসেনের নিয়ন্ত্রণ এই এলাকায় বরদাশ্ত করা হবে না। বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্ব দেওয়া অন্যতম নারায়ন চন্দ্র দাস হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রকাশ্য ক্যামেরার সামনে সংবাদমাধ্যমে প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন,' রাণীনগরের বাগান তৃণমূল কংগ্রেসের সাজানো বাগান এখানে যদি কেউ বাইরে থেকে এসে কোনভাবে নিজের সিদ্ধান্ত মত কাজ করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা তা কোনও ভাবেই মেনে নেব না। এমনকি জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্ব যদি এক্ষেত্রে পদক্ষেপ না করে তাহলে আমরাই ৬ টি অঞ্চল এর হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী একত্রিত হয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব।' কার্যত বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ কে ঘিরে মুর্শিদাবাদের মাটিতে পিকের স্ট্র্যাটিজি নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন, পুজোর আগেই গঙ্গা বক্ষে ভ্রমণ শুরু, ৯০ মিনিটের নস্টালজিয়া মাত্র ৩৯ টাকায়