সংক্ষিপ্ত

মা মনসা উঠে আসবে জল থেকে, কুসংস্কারে গোটা গ্রাম জড়ো পুকুর পাড়ে। হতবাক এলাকার বুদ্ধিজীবী এবং বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ।

আজও এমন ঘটে। করোনা বিধি(Corona Rule) শিকেয় তুলে শুধু অন্ধবিশ্বাসের (superstition) বশবর্তী হয়ে পুকুর পাড়ে (Pond) জড়ো হলেন হাজার হাজার মানুষ (whole village)। সেই জনসমাগমে কোথাও কাউকে দেখা গেল না মাস্ক পরতে, দেখা গেল না শারীরিক দুরত্ব বিধি মানতে। তাদের তখন একটাই বিশ্বাস পুকুর থেকে নাকি উঠে আসবেন মা মনসা (Devi Manasa)।এই অপেক্ষায় সন্ধ্যে থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মেলার মত জনসমুদ্র হল পুকুর পাড়ে। এই ডিজিটাল ভারতের যুগেও বুধবার এরকমই কুসংস্কারের সাক্ষী থাকলো জঙ্গলমহল পুরুলিয়া বলরামপুরের মানুষ।

খুশির খবর, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পুজোর আগেই চালু নতুন শিল্প, মিলবে প্রচুর চাকরি

জল থেকে উঠবে মা মনসা, আর সেই অপেক্ষায় পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে রইলেন হাজার হাজার মানুষ। ঝাঁঝর ঘন্টা বাজিয়ে ভক্তিভরে সন্ধ্যে থেকে রাত পর্যন্ত মা মনসা দর্শনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকলেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও জলাশয় থেকে মনসা উঠে না আসায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন সকলেই। এই নাটকীয় মুহূর্তের ঘটনাস্থল পুরুলিয়ার জঙ্গলমহল বলরামপুর ব্লকের বাঘাডি গ্রাম। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় গ্রামের এক মেয়ের ওপর মনসা দেবী ভর পেয়েছে বলে এলাকায় রটে যায়।তারপর শুরু হয় পুজো অর্চনা। 

জানা যায় এদিনেই বাঘাডি গ্রামের অদুরে এক জলাশয়ে ডুব দিয়ে ওই মেয়ে আর বাড়ি ফেরেনি বলে এলাকায় রটে যায়। ঝড়ের বেগে এই গুজবের গল্প দূর-দূরান্তের গ্রামেও ছড়িয়ে যায়। পুকুর পাড়ে শুরু হয়ে যায় মা মনসার পুজো অর্চনা। একদিকে মা মনসার কৃপা লাভের জন্য ভক্তি, অন্যদিকে বিষয়টি দেখার জন্য আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পুকুর পাড়ে ভীড় জমাতে শুরু করেন। সময় পেরিয়ে গেলেও জল থেকে ওই মেয়ে বা মা মনসা উঠে না আসায় মানুষজন হতাশ হন। 

মিহিদানার পর এবার পালা সীতাভোগের, বাংলার মিষ্টি পাড়ি দিল মধ্যপ্রাচ্যে

পরে বলরামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পুকুর থেকে ভীড় সরিয়ে দেন। বিষয়টিকে বিঞ্জান মঞ্চের এক সদস্য বুজরুকি ছাড়া কিছুই নয় বলে জানান। তবে রাত পেরিয়ে সকাল হলেও, চায়ের ঠেক থেকে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চাপা গুঞ্জন রয়েছে। এলাকার মানুষের দাবি ওই পুকুরে নিশ্চয়ই কোন একটা অলৌকিক বিষয় তো রয়েছেই। তা না হলে ওই বিশেষ একটি পুকুরেই বা এটা হলো কেন? নিশ্চয়ই মা মনসার আবির্ভাব ওই পুকুরে রয়েছে। 

আর এই বিষয়টি যে সম্পূর্ণ কুসংস্কার তা এলাকায় বোঝাতে ব্যর্থ বিজ্ঞানমনস্ক মানুষেরা। তারা ঘটনায় হতবাক। এলাকার বুদ্ধিজীবী এবং বিজ্ঞান মনস্ক মানুষের মুখে একটাই কথা আমরা এখনও কোন যুগে পড়ে রয়েছি।

"