সংক্ষিপ্ত
- শিয়ালদহ চত্বর জুরে ঢাকের লড়াই
- দূর দূর থেকে শোনা যেত ঢাকির মেলা বসেছে
- ভোর থেকেই পড়ে যেত ঢাকে কাঠি
- কিন্তু এবার ছবিটা গেল খানিক বদলে
পুজো মানেই জাঁকিয়ে উৎসব। পুজো মানেই এক শিল্পের মেলবন্ধন। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ, কোনও না কোনও ভাবে যুক্ত থাকেন এই উৎসবের সঙ্গে। সে মেলা প্রাঙ্গনে বসা দোলনা হোক বা পুজোর মন্ডপে ঢাকি। ফুলের বাজার হোক বা কুমোর পাড়ার প্রতিমা, সকলেই মিলে মিশে একই চালচিত্রের নিচে এসে দাঁড়ায় এই শারদের প্রাতে। এবার নেই সেই চেনা ছবি। আর এই কোপে সব থেকে বেশি নাজেহাল অবস্থা এখন ঢাকিদের।
বাংলার বিভিন্ন জেলা, বিভিন্ন গ্রামে থাকা ঢাকিরা দল বেঁধে তৃতীয়া-চতুর্থী ও পঞ্চমীতে হাজির হত শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে। সেখানেই সকলে মিলে ঢাক বাজাত। হত বায়না। সেখান থেকেই বিভিন্ন পুজো কমিটি তাঁদের সঙ্গে দর কষাকষি করে নিয়ে যেত মন্ডপে মন্ডপে। কিন্তু চলতি বছরে মাথায় হাত। চলছে না ট্রেন। পুজোয় নেই চেনা রসনাই। পুজোতে আয়োজন যৎসামান্য, তাই ঢাকিদের বদলে অনেকে সিডি বা অনলাইনেই কাজ সেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছেন।
অন্যদিকে বায়না পেলেও কলকাতায় পৌঁচ্ছতে পারছেন না এক শ্রেণীর ঢাকিরা। কারণ গাড়ি করে আসতে যেতে যা খরচ, তা দিতে গেলে পকেট থেকেই টাকা যাবে। আয় তো কিছুই হবে না। তাই ম্লান মুখেই চলতি বছরে কলকাতা থেকে সুদূরে বসে রইলেন তাঁরা। তাই এবছর দুর্গা পুজোয় বেশ কিছু ঢাকি পরিবারের মুখে থাকল না হাসি। পরিস্থিতির কবলে পড়ে তাঁরা এখন আসছে বছরের অপেক্ষায়।