সংক্ষিপ্ত

  • করোনা আবহে শোরগোল নেই দুর্গাপুজোর
  • বায়না না থাকায় বন্ধ পুজোয় উপার্জনের পথ
  • পেট চালাতে সবজি-মাছ বিক্রি করছেন চাষিরা
  • রেশনের চালে টেনেটুনে দিন গুজরান পরিবারের

মৌলিককান্তি মণ্ডল, নদিয়া-করোনাভাইরাস আগেই আধমরা করেছিল। ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় সব জায়গাতেই বন্ধ বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান। দুর্গাপুজো অবস্থা বদলানোর আশা করা হলেও তা বদলায়নি। উল্টে আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে করোনাভাইরাস। তাই এবছর পুজোয় এখনও কোনও শোরগোল নেই। এখনও ঢাঁকে কাঠে দেননি নদিয়ার ঢাঁকিরা। 

আরও পড়ুন-'কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি সরকার', ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা

আকাশে পেঁজাতুলোর মেঘ। নদীর বুকে ফুটেছে কাশফুল। বৃহস্পতিবার থেকে পিতৃপক্ষের অবসান ও মাতৃপক্ষের সূচনা হলেও শোরগোল নেই দুর্গাপুজোয়। অন্যান্য বছর এখন ভিন রাজ্যে চলে যেতেন ঢাঁকিরা। কিন্তু এবছর এখনও পাড়ার ক্লাবগুলি থেকেও ডাক পাচ্ছেন না নদিয়ার ঢাঁকিরা। করোনা আবহে পুজোর মুখে এখনও কর্মহীন নদিয়ার নবদ্বীপের দাসপাড়ার কার্তিক, গণেশ, শঙ্কর, গণেশ এবং অসীমরা। তাই ঢাঁক বাজানো ছেড়ে অর্থ উপার্জনের অন্য চেষ্টা করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন-ভাইঝিকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদে খুন, দম্পতির গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার ঘিরে ঘণীভূত রহস্য

এবছর পুজোয় ঢাঁক বাজিয়ে অর্থ উপার্জনের সম্ভাবনা নেই বললেই চল। তাই বাঁশের কুলো, ঝুড়ি সহ অন্য সামগ্রী তৈরিতে ব্য়স্ত ঢাঁকিদের পরিবারের লোকেরা। ছয় মাসের বেশি হল অন্যত্র কোনও সামাজিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ঢাঁক বাজানোর ডাক পাননি তাঁরা। তাই অর্থের সংস্থানে কেউ মাছ বিক্রি করছেন। কেউ কেউ সবজি বিক্রি করছেন। আবার কেউ ভ্য়ানরিকশা টেনে সংসাট চালানোর চেষ্টা করছেন। 

আরও পড়ুন'মৃত ঘোষণার পরেও বেঁচে ছিল রোগী', চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর

ঢাঁক শিল্পী কার্তিক দাস জানান, গত ছাব্বিশ বছর ধরে দুর্গাপুজোয় দিল্লি থাকেন। পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত সেখানে থেকে ঢাক বাজান। ঘর ছেড়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়ে পুজদোর মুরসুমে মোটা টাকাও উপার্জন করতেন তাঁরা। কিন্তু এবছর করোনা আবহে সবকিছুই যেন এলোমেলো হয়ে গেছে।