সংক্ষিপ্ত

অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলনের জেরে আপাতত বন্ধ এই রুটের সরকারি বাস। ঘটনার জেরে ফাপরে পড়েছেন পর্যটকরা। বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে সরব দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের ডিপোর অস্থায়ী কর্মীরা।

পুজোয় বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। আর পুজোর ছুটি মানেই বাঙালির বেড়াতে যাওয়ার মরশুম। কাছেপিঠের মধ্যে বাঙালির বেড়াতে যাওয়ার সেরা ঠিকানা বলতে প্রথমেই আসে দিঘার নাম। কিন্তু এবছর পুজোর মুখে নেই কলকাতা-দিঘা সরকারি বাস। অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলনের জেরে আপাতত বন্ধ এই রুটের সরকারি বাস। ঘটনার জেরে ফাপরে পড়েছেন পর্যটকরা। বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে সরব দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের ডিপোর অস্থায়ী কর্মীরা। 

সূত্রের খবর, আগে দিঘা ডিপো থেকে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ৯০টি বাস চলত। করোনা পরিস্থিতি, লকডাউন যাবতীয় কিছুর জেরে এই সংখ্যা নেমে দাঁড়ায় ১৪-এ। ফলে কার্যত কাজহারা দিঘা ডিপোর ১৭৫ জন অস্থায়ী কর্মী। বাসের সংখ্যায় বিরাট পরিবর্তনের জেরে মাসে মাত্র ১০-১২ দিন কাজ পাচ্ছে অস্থায়ী কর্মীরা। আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত শ্রমিক সংগঠন। দাবি না পূরণ হলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত শ্রমিক সংগঠন INTTUC।

আরও পড়ুন - আরও পড়ুন: 'শীঘ্রই শহরে নামছে বেসরকারি বাস', কী বললেন সিন্ডিকেটের সাধারন সম্পাদক

পুজোর মুখে কলকাতা-দিঘা রুটে বাস বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন দিঘা-খড়গপুর, দিঘা-বারাসত , দিঘা-দুর্গাপুর রুটের যাত্রীরাও। এই রুটগুলিতে SBSTC-র বাস বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পর্যটনও। এই সময় পর্যটকদের ঢল নামে দিঘায়। পর্যটন ব্যবসার ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ এই সময়। তাই একদিকে যেমন ফাঁপড়ে পড়েছে পর্যটকরা, অন্যদিকে ক্ষতির মুখে পর্যটন ব্যবসাও। 

আরও পড়ুন:  অটো-ট্যাক্সিতেও এবার 'যত সিট তত যাত্রী', স্বাস্থ্য বিধি নিয়ে কড়াকড়ি

SBSTC দিঘা ডিপোর  ইনচার্জ সোমনাথ ঘোষ জানিয়েছেন, "উর্ধতনকে জানিয়েছি,তারা যা বলবেন  তারপর দেখা যাবে।" মূলত বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি নিয়ে বিক্ষোভ অস্থায়ী কর্মীদের। এখন দেখার পুজোর আগে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে, না কি বাঙালির পুজোয় এবার ব্রাত্য হবে দিঘা ভ্রমণ।