সংক্ষিপ্ত

রীতিমত ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে ঘিরে রাজ্যে সিবিআই আর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের রাজ্যে সক্রিয়তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ছাড়পত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা  তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি বিশ্বাস করিনা সিবিআই আর ইডির এই বাড়াবাড়ির পিছনে প্রধানমন্ত্রী মোদী রয়েছেন।'

রীতিমত ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে ঘিরে রাজ্যে সিবিআই আর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের রাজ্যে সক্রিয়তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ছাড়পত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা  তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি বিশ্বাস করিনা সিবিআই আর ইডির এই বাড়াবাড়ির পিছনে প্রধানমন্ত্রী মোদী রয়েছেন।' ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকেই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তিনি বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতাদের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে। অথচ এই সময় যখন রাজ্য সরকারের একের পর এক দুর্নীতির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা তখনই মুখ্যমন্ত্রী ক্লিনচিট দিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। যা নিয়ে রীতিমত সরব হয়েছে বিরোধীরা। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য
 সিবিআই এখন আর প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে নেই। এটির দায়িত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেইজন্য রাজ্যে তদন্তকারী সংস্থার এই সক্রিয়তা নিয়ে তিনি আর প্রধানমন্ত্রীকে জদায়ি করতে রাজি নন। তিনি বলেন 'সিবিআই এখন প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে।কলকাতায় ২১টি রেড করেছে ইডি। ১০৮টি কেস করেছে সিবিআই। আমি বিশ্বাস করি না এটা নরেন্দ্র মোদী করেছেন। এটা বিজেপি নেতারা করছেন।' তার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন,'তোমরা বুনো ওল হলে আমি বাঘা তেঁতুল।'প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির বাড়াবাড়ির দিকে নজর দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজকর্ম এবং তার দলের স্বার্থ যেন মিশে না যায়,"

শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য 
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন  আর  দলের অন্যান্য নেতাদের দোষারোপ করে বিজেপিতে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছেন। দুর্নীতি মামলায় তাঁর দলের নেতাদের গ্রেফতারের পর টিএমসি সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। শুভেন্দু আরও বলেন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সংস্থাকেও অপমান করেছেন। দুর্নীতির জন্য প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। তৃণমূল তার পাপ থেকে বাঁচতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু। 

অধীর চৌধুরীর মন্তব্য
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে নিরঙ্কুষ বোঝাপড়া রয়েছে তা আবারও প্রকাশ্যে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের মধ্যে থেকেই। এটি কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়াই নয়, একটি আদর্শের বিরুদ্ধে লড়াই। তিনি আরও বলেন বিরোধী শিবিরে সবথেকে দুর্বল যোগসূত্র হল টিএমসি। 

মহম্মদ সেলিমের মন্তব্য
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, প্রতিপক্ষের শিবিরে ভাঙন ধরানো তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পুরনো কৌশল। এটি নতুন কিছু নয়। রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার যখন ছিল তখনও মমতা রাজ্য সরকারের নিন্দা করে কেরলের বামফ্রন্ট,সরকারের প্রশংসা করতেন। যার মাধ্যমে বাম শিবিরে ভাঙন ধরানোর একটা প্রচ্ছন্ন মদতও দিতেন তিনি। তিনি আরও বলেন মমতার এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে।

রাজ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পিছনে নেই মোদী, বিধানসভায় ঘোষণা মমতার 

অভিষেকের পিতৃ-পরিচয় নিয়ে মন্তব্য শুভেন্দুর, 'মমতার ভাইপো হওয়া দোষের?'পাল্টা প্রশ্ন তৃণমূলের

জার্মানিতে জমজমাট বিয়ার উৎসব, ২০০ বছরের পুরনো উৎসব নিজের ছন্দে ফিরল ২ বছর পরে