সংক্ষিপ্ত

বৃহস্পতিবার সকালে বিধাননগর পুরভোটের দুই বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে যান দিলীপ ঘোষ। মুখে গেরুয়া মাস্ক পরিহিত দিলীপকে ঘিরে কর্মী সমর্থকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। যদিও বিজেপি নেতার দাবি, তাঁরা করোনা বিধি মেনে পাঁচজনকে নিয়ে প্রচারে বেরোন। 

করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যে প্রচার করতে গিয়ে একাধিকবার বাধা পাচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। প্রথম দু'বার আসানসোলে (Asansol) প্রচারের সময় বাধা পেয়েছিলেন তিনি। আর এবার বিধাননগরে (Bidhannagar) পুলিশ তাঁকে প্রচারে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। করোনা বিধি ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিধাননগরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী মলি পালের হয়ে প্রচার করছিলেন তিনি। পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে প্রচার করায় তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। তারপর বাধা পেয়ে ফিরে যান দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি এবার ধামাকাদার প্রচার করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকালে বিধাননগর পুরভোটের দুই বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে যান দিলীপ ঘোষ। মুখে গেরুয়া মাস্ক পরিহিত দিলীপকে ঘিরে কর্মী সমর্থকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। যদিও বিজেপি নেতার দাবি, তাঁরা করোনা বিধি মেনে পাঁচজনকে নিয়ে প্রচারে বেরোন। তারপরই সেই এলাকায় আসে বিধাননগর পুলিশ। এমনকী, সল্টলেকেও দিলীপের প্রচারে বাধা দেওয়া হয়। ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে দিলীপ ছাড়াও এদিন ছিলেন শমীক ভট্টাচার্য ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়রা। দুই প্রার্থী মলি পাল এবং পিয়ালী দেবীর সমর্থনে প্রচার করছিলেন তাঁরা। আর ঠিক সেই সময় তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। অভিযোগ, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা না মেনে প্রচার করছিলেন তাঁরা। তাই তাঁদের প্রচার বন্ধ করা হয়। পাশাপাশি বিধাননগর পূর্ব ও বিধাননগর পশ্চিম থানার তরফে মাইকিং করা হয় এভাবে প্রচার করলে মহামারি আইনে গ্রেফতারও করা হতে পারে।

আরও পড়ুন- রাজ্যের ৪ পুরভোট কেন্দ্রের কোভিড পরিস্থিতি কী, কমিশনের কাছে তথ্য চাইল কোর্ট

এই ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের দাবি, "এখানে ওইসব নিয়মবিধি মেনে কেউ প্রচার করছে না। কেন্দ্রীয় সরকার বারবার যে গাইডলাইন দিয়েছে তা মানা হয়নি। এখন কলকাতায় সংক্রমণ বেড়েছে। পুরভোটে বিভিন্ন দলের পতাকা, ফ্লেক্স ছিঁড়ে, ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূলের ঠিক আছে। সরকারি ঘোষণা শাসক শিবির নিজেই মানছে না। এদিকে আমাদের বারবার আটকানো হচ্ছে। ৬০০ লোক নিয়ে ওরা প্রচার করতে পারে। তখন কেউ কিছু বলছে না।" তিনি আরও বলেন, "মার্কেট চলছে, মেলা চলছে, খেলা চলছে, সব চলছে কিন্তু বিজেপির মিছিল চলবে না। আমি আসানসোলে ছিলাম। ওখানে রোজ আটকেছে। এখানেও আটকাচ্ছে, জানি না কী অপরাধ করেছি।"

আরও পড়ুন- ঝাঁট দিয়ে নালা পরিষ্কার থেকে ব্লিচিং ছড়ানো, পুরভোটের অভিনব প্রচার চন্দননগরে

প্রসঙ্গত, একাধিকবার পুরভোটের প্রচারে বাধা পেয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এর আগে আসানসোলে প্রচারে গিয়ে প্রচারে বাধা পান তিনি। সে সময় মাটিতে বসে বিক্ষোভ দেখান। সেখানেও প্রচারের সময় করোনা বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। আর এবার কলকাতাতেও প্রচারে বাধা পেলেন। এবারও তাঁর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তোলা হয়েছে।