সংক্ষিপ্ত
- দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির জেরে প্লাবনের আশঙ্কা
- নদীগুলিতে হু হু করে বাড়ছে জলস্তর
- পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে না তো
- ড্রোন উড়িয়ে নজর দিলেন হুগলির জেলাশাসক
উত্তম দত্ত, হুগলি- গত সপ্তাহ থেকে অনবরত বৃষ্টি চলছে দক্ষিণবঙ্গে। মাঝে দুটো দিন বিরতি দিলেও বুধবার বেলা গড়ানোর পর থেকে ভারী বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলিতে বেড়েছে জলস্তর। এই অবস্থায় হুগলির দ্বারকেশ্বর নদীতে জলস্তর দিনে দিনে বাড়তে থাকায় প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে নদী তিরবর্তী এলাকাগুলিতে। ওই সব এলাকায় যাতে বন্য়া পরিস্থিতি তৈরি না হয় সে জন্য ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালালেন হুগলির জেলাশাসক।
টানা বৃষ্টির জেরে হুগলির খানাকুল এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করছেন নদী তিরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। ভারী বৃষ্টির ফলে দ্বারকেশ্বর নদীতে হু হু করে বাড়ছে জল। এই অবস্থায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে না তো, সেই আশঙ্কা থেকেই আগেভাগেই নজরদারি চালালেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও।
খানাকুল এলাকার সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ড্রোনের সাহায্য নেয় প্রশাসন। এদিন খানাকুল এলাকার জগতপুর অঞ্চল পরিদর্শন করেন তিনি। ড্রোন উড়িয়ে স্বচক্ষে এলাকার পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেন জেলাশাসক। তিনি বলেন, খানাকুল বরাবরই বন্য়া কবলিত এলাকা। ভারী বৃষ্টির জেরে এলাকার অবস্থা কী রকম, তা নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করতে এসেছেন।
ড্রোনের সাহায্য়ে দ্বারকেশ্বর নদীর জলস্তর, রাস্তাঘাটের অবস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি। এরপর জেলাশাসক জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য দুর্গতদের অন্যত্র সরাতে আগেভাগেই ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। এছাড়াও কোন কোন এলাকায় ত্রাণ সামগ্রীর প্রয়োজন রয়েছে তাও খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক। বন্যা কবলিত মানুষদের সাহায্যের জন্য আগে থেকেই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। প্রতিদিন সন্ধে ৬টা নাগাদ মহকুমা ও ব্লকের স্তরের প্রতিনিধিরা বৈঠক করছেন। বন্য়া পরিস্থিতির আগাম সতর্কতায় প্রশাসন সবরকম ব্যবস্থা করছে বলে জানান জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও।