সংক্ষিপ্ত

  • রায়গঞ্জের জামবাড়ি এলাকার ঘটনা
  • রাস্তায় বচসার জেরে বেধড়ক মার চিকিৎসককে
  • পুলিশের মারে চিকিৎসকের মাথা ফাটল
  • অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু
     

রোগীর পরিবারের লোকজনের রোষের হাত থেকে বাঁচতে চিকিৎসকরা ভরসা করছেন পুলিশের উপরে। এবার এক পুলিশের বিরুদ্ধেই এক চিকিৎসককে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। পুলিশের মারে আহত হয়েছেন এক ফার্মাসিস্টও। তবে কোনও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে নয়, রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় জায়গা দেওয়া নিয়ে বিবাদের জেরেই তাঁদের মারধর করা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন- পুলিশ- বিজেপি তুমুল সংঘর্ষ, তুলকালাম আসানসোলে, দেখুন ভিডিও

আহত ওই দন্ত চিকিৎসকের নাম অনির্বাণ সেনগুপ্ত। তিনি ইটাহার স্বাস্থ্যেকেন্দ্রের ডেন্টাল সার্জেন। আক্রান্ত চিকিৎসক জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি এবং ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিষ্ট দীপঙ্কর রায় মোটরবাইকে চেপে রায়গঞ্জ থেকে ইটাহারে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, রায়গঞ্জ থানার জামবাড়ি গ্রামে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে পুলিশকর্মীদের একটি বাস তাঁদের মোটরবাইক ওভারটেক করার চেষ্টা করে। কিছুক্ষণ পরে সেই বাসটি তাঁদের মোটরবাইকটি ওভারটেক করে রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। 

অভিযোগ এর পরেই বাস থেকে বেশ কিছু পুলিশকর্মী তাঁদের উপরে চড়াও হয়। তারা অভিযোগ করে, বার বার হর্ন দেওয়া সত্ত্বেও অনির্বাণবাবুরা বাসটিকে যাওয়ার জায়গা দেননি। তাঁদের উদ্দেশে অশ্লীল গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদ করতেই ওই পুলিশকর্মীরা অনির্বাণবাবুকে বেধড়ক মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গিয়ে আহত হন ওই চিকিৎসকের সঙ্গীও। তিনি একজন চিকিৎসক, এই পরিচয় দেওয়ার পরেও পুলিশকর্মীদের নিরস্ত করা যায়নি বলে অভিযোগ। অনির্বানবাবুর দাবি, পুলিশকর্মীরা প্রত্যেকেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল। মারের চোটে ওই চিকিৎসকের মাথা ফেটে যায়। 

পুলিশকর্মীদের আচরণ দেখে স্থানীয় গ্রামবাসীরা এসেই প্রতিবাদ করেন। এর পরেই বাসে চেপে এলাকা ছেড়ে চলে যায় ওই পুলিশকর্মীরা।  আহত চিকিৎসককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে। পরে রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন অনির্বাণবাবু। পুলিশ জানিয়েছেন, কোন ব্যাটেলিয়নের বাস ছিল তা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি জেলা পুলিশ সুপারও ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।