- জাঁকিয়ে শীত পড়েছে বাংলা
- প্রত্যন্ত জেলাগুলিতে শীতের আমেজ বেশি
- তবুও দেখা নেই শীতের পোশাক বিক্রি করা কাশ্মীরিদের
- করোনার থাবায় এ রাজ্যে আর ফেরেননি তাঁরা
বিশ্বনাথ দাস, হাওড়া-ঠিক যেন পরিযায়ী পাখি। বাংলায় শীত পড়লেই ওঁদের আগমন। সদূর কাশ্মীর থেকে ভিড় জমায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। শাল, সোয়েটার, চাদর সহ অন্যান্য শীতের সামগ্রী বাড়ি ঘুরে বিক্রি করেন তাঁরা। কাঁধে কিংবা সাইকেলে। পোটলা নিয়ে বাড়ি বাড়ি ফেরি করে রকমারি কাশ্মীরি শাল। কিন্তু এবারে শীত পড়তে শুরু করলেও শহরে সেভাবে দেখা নেই কাশ্মীরি শালওয়ালাদের। করোনা আবহে মন্দা দেখা দিয়েছে তাঁদের ব্যবসায়। তবে যে কজন এখনো পর্যন্ত শহরে এসেছেন।
আরও পড়ুন-বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডের ৯ বছর পার,ঘরে ফিরছেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ
নভেম্বর মাসের শুরুতেই এই কাশ্মীরি শালওয়ালারা রকমারি ডিজাইনের শাল, চাদর, বেড কভার, সোয়েটার, টুপি, মাফলার এবং বাচ্চাদের শীতের পোশাক নিয়ে হাজির হয়। কাশ্মীরের বড়বড় মহাজনদের কাছ থেকে শালওয়ালারা ধারে শীতের পোশাক কিনে বাংলায় আসেন ব্যবসা করতে। এই রাজ্যে তিন থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত চলে তাঁদের বিক্রি বাটা। কাশ্মীরীদের একাংশের এখানে নিজেদের দোকান রয়েছে। অনেক কাশ্মীরী শালওয়ালারা সাইকেলে চড়ে বাড়ি বাড়ি মাল ফেরি করেন। জান মহম্মদ নামে এক শালওয়ালা জানান,তিন মাসের ধারে তারা শাল বিক্রি করেন।কাশ্মীরের মহিলাদের হাতে তৈরি সুন্দর নকশা করা শালের চাহিদা এখানে প্রচুর। এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত চলে ব্যবসা। তারপর তারা টাকাপয়সা বাজার থেকে তুলে ফিরে যান কাশ্মীরে তাঁদের বাড়িতে।
আরও পড়ুন-পরপর বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে দুষ্কৃতী হামলা, ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ
কিন্তু, মার্চ মাসে লকডাউন চালু হওয়ায় বিপদে পড়েন এই কাশ্মীরী শালওয়ালারা। তাঁরা আটকে পড়েন এই হাওড়া শহরে। করোনার কারণে অনেক বাড়িতে এই শালওয়ালাদের ঢোকার অনুমতি দেননি। তাঁদের কাছ থেকে শীতের পোশাক কেনার সুবিধা হল এককালীন টাকা তাঁদের দিতে হয় না। মাসে মাসে বিনা সুদে দিয়ে দেওয়া যায়। তবে এবার করোনার জন্য পরিচিত শালওয়ালাদের দেখা মেলেনি এখনও।
Read Exclusive COVID-19 Coronavirus News updates, from West Bengal, India and World at Asianet News Bangla.
খেলুন দ্য ভার্চুয়াল বোট রোসিং গেম এবং চ্যালেঞ্জ করুন নিজেকে। கிளிக் செய்து விளையாடுங்கள்
Last Updated Dec 6, 2020, 4:35 PM IST