সংক্ষিপ্ত
- বাঙালীর শ্রেষ্ট উৎসব উমার অকাল বোধন
- আর এই উমার আগমনই থিম পূর্ব বর্ধমানের পাল্লা রোড পল্লীমঙ্গল সমিতির
- বিশ্বশান্তির বার্তা দিতে প্রতীমার হাতে কোনও অস্ত্রও দেওয়া হবে না
- আর বিভিন্ন ব্যবহৃত সামগ্রী দিয়েই পল্লমঙ্গলের মন্ডপ সাজিয়ে তুলছেন শিল্পী অশোক মন্ডল
পূর্ব বর্ধমানের পাল্লা রোড পল্লীমঙ্গল সমিতির দুর্গাপুজো এইবার ৭৬ বছরে পড়ল। আর এই বছরে তাদের পূজোর বিষয় বা থিম হল 'উমার আগমন'।
বাঙালীর শ্রেষ্ট উৎসব উমার অকাল বোধন। বাংলা আষাঢ়-শ্রাবন মাস থেকেই উমার আগমনের গন্ধে বাঙালীর মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর কার্ত্তিক -অগ্রহায়নে মা কৈলাশে গমন করলে পড়ে থাকে একরাশ বিষাদ। এই সবটাই পল্লমঙ্গলের মন্ডপে ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পী অশোক মন্ডল।
তবে শুধু এই হরিশ-বিষাদের লুকোচুরিই নয় পুজোর মধ্য দিয়ে এইবার বিশ্ব শান্তির বার্তাও দিতে চাইছে পাল্লা রোড পল্লীমঙ্গল সমিতি। সেই কারণে এইবার তাদের প্রতীমার হাতে থাকছে না কোনও অস্ত্র। দশ হাতে উমা আশীর্বাদ করবেন ভক্তদের। আর সব অস্ত্র সমপ্রিত থাকবে তাঁর পদতলে।
চমক থাকছে মন্ডপ সজ্জার উপকরণেও। কোনও দামী কিছু নয়, ব্য়বহৃত বা ফেলে দেওয়া বিভিন্ন সামগ্রীই ব্যবহার করা হচ্ছে মন্ডপ সজ্জার জন্য়। শুকিয়ে যাওয়া বাঁশ, নষ্ট হয়ে যাওয়া ফ্যানের ব্লেড, ফেলে দেওয়া এসি মেশিনের পাইপ, মুড়ো ঝাঁটা, নষ্ট ফুলঝাড়ু, ফুটো বা পাতলা হয়ে যাওয়া থালা - এইসব ব্যবহার করেই মন্ডপে রূপ পাচ্ছে কাশ, শিউলি, ছেঁড়া মেঘের শরতের পরিবেশ।
আয়োজকদের দাবি, মন্ডপে ঢুকলেই পাওয়া যাবে নির্ভেজাল শরতের পরিবেশ। তাদের এইবারের পুজোর স্লোগান -
'পুজোর গন্ধে মাটির টানে,
খুশির বন্যা উমার আগমনে।
মাটির স্বাদে পুজোর মজা পেতে,
আসতেই হবে পল্লীমঙ্গল সমিতিতে।'