সংক্ষিপ্ত
শনিবার রাতে বাম-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল নদিয়ার চাকদা এলাকায়। করুণাময়ীকাণ্ডের প্রতিবাদে বামেদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালীন প্রতিবাদের মুখে আটকে যায় বিজেপি সাংসদদের গাড়ি।
করুণাময়ীকাণ্ডের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই বিক্ষোভ ছড়িয়েছে জেলায় জেলায়। রাজ্য সরকারের 'অনৈতিক' পদক্ষেপের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল সবকটি বিরোধী দল। বিক্ষোভ, অবরোধের আবহে এবার বাম-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত নদিয়ার চাকদা। সূত্রের খবর ডিওয়াইএফআই-এর বিক্ষোভের মাঝে বিজেপি নেতার গাড়ি আটকে পড়াকে কেন্দ্র করেই বচসার সূত্রপাত। ক্রমে বচসা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। বিজেপির পালটা অভিযোগ রাহুল সিনহার গাড়ি ভাঙচুর করে ডিওয়াইএফআই কর্মীরা।
শনিবার রাতে বাম-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল নদিয়ার চাকদা এলাকায়। করুণাময়ীকাণ্ডের প্রতিবাদে বামেদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালীন প্রতিবাদের মুখে আটকে যায় বিজেপি সাংসদদের গাড়ি। সূত্রের খবর চাকদার চৌরাস্তা সংলগ্ন একটি লজে বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, দলীয় নেতা রাহুল সিনহা, চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ-সহ একাধিক রাজ্য ও জেলা স্তরের নেতারা আসছিলেন। এই সময়ই বামেদের অবরোধের জেরে আটকে পড়ে একাধিক পদ্ম-নেতার গাড়ি। এর থেকেই গণ্ডোগোলের সূত্রপাত বলে জানা যাচ্ছে। আগে এই গাড়িগুলিকে ছেড়ে দিতে হবে বলে দাবি করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এরপর বচসা বাড়তে বাড়তে ক্রমে হাতাহাতি থেকে ধস্তাধস্তিতে এগোয়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেয় চাকদা থানার পুলিশ। পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল হলেও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার গাড়িতে ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে আবারও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের একাংশ। আন্দোলনকারীদের সমর্থনে এগিয়ে আসে বাম ছাত্র-যুবরাও। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে বলপূর্বক আন্দোলনরত চাকরীপ্রার্থীদের টেনে হিঁচড়ে জোড় করে তোলার প্রতিবাদে সল্টলেক সিটি সেন্টার থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেয় এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই নেতা-কর্মীরা। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস, এসএফআই-এর রাজ্য সভাপতি প্রতীক উর রহমান। কিন্তু মাঝপথেই পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয় মিছিল। বিধাননগরের কাছে রাস্তার মাঝেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় মীনাক্ষীদের। একের পর এক আন্দোলনকারীকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ।
পুলিশি ধরপাকড়ের জেরে ফের একবার নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাফ নামানো হয়। মোতায়ন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনীও। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে বিকাশ ভবন চত্ত্বর। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ গোটা এলাকা।
ফাঁকা রাস্তায় পড়ে শুধু ছেঁড়া কাগজ, শুনশান করুণাময়ীতে মোতায়েন পুলিশ-চরম নিন্দা বিরোধীদের
Netaji death mystery: গুমনামি বাবাই কি আসলে নেতাজী? CFL ডিএনএ রিপোর্ট প্রকাশ না করায় উঠছে প্রশ্ন