সংক্ষিপ্ত
বীরভূমে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতি নিয়ে রীতিমত আক্ষেপ করলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন জোর করে কাউকে জেলে আটকে রাখা যায় না। বিচার ব্যবস্থায় আস্থা রয়েছে তৃণমূলের।
চাকরির নিয়োগপত্র দিতে এসে অনুব্রত মণ্ডলের শূন্যতা বোধ করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরাহাদ হাকিম। তিনি বললেন “আমি বেশি আনন্দ পেতাম যদি এই মঞ্চে অনুব্রত মণ্ডল উপস্থিত থাকত। তবে বেশি দিন কাউকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখতে পারে না”। গরুপাচারকাণ্ডে বর্তমানে তিনি জেলবন্দি। ইডি ও সিবিআই-এর মত কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ট সহযোগিকে।
শনিবার সিউড়িতে গিয়েছিল মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সিউড়ি রবীন্দ্র সদনে এদিন দেউচা – পাঁচামি কয়লা শিল্পাঞ্চলে জমি দাতাদের হাতে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী পদে নিয়োগ পত্র তুলে দেন পুরমন্ত্রী। একই সঙ্গে ১৮ বছর কম বয়সী ছেলেমেয়েদের ১০ হাজার টাকা সহায়ক ভাটা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বস্ত্র মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, জেলা শাসক বিধান রায়, বোলপুর সাংসদ অসিত মাল, বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায় সহ অনেকে। অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফিরহাদ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এখানে এসেছি। তবে আরও আনন্দ পেতাম যদি এই মঞ্চে অনুব্রত মণ্ডল উপস্থিত থাকতেন। তবে বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদবে না। বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমাদের সবার আস্থা আছে। যে অন্যায় করেছে। কিন্তু যে অন্যায় করেনি তাকে মিথ্যে ভাবে বেশিদিন আটকে রাখা যাবে না”।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিঙ্গুর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “সিঙ্গুরের আন্দোলন টাটার বিরুদ্ধে ছিল না। ছিল গরিব মানুষের জমি জোর করে কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে। সিঙ্গুরের মতো ডেউচা – পাঁচামিতে জোর করে কিংবা ধর্ষণের পর কাউকে খুন করে জমি নেওয়া হয়নি। আমরা মানুষকে লাঠি মেরে, গুলি চালিয়ে জমি অধিগ্রহণ করিনি। বরং যারা আনন্দে জমি দিয়েছেন সেই জায়গায় আমরা প্রকল্প গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দশ বছর লেগেছে মানুষের আস্থা পেতে। এখন আমরা এগিয়ে চলেছি। এখনও বিরোধীরা স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। তাই আমরা এগিয়ে চলেছি”।
ফাঁকা রাস্তায় পড়ে শুধু ছেঁড়া কাগজ, শুনশান করুণাময়ীতে মোতায়েন পুলিশ-চরম নিন্দা বিরোধীদের
Netaji death mystery: গুমনামি বাবাই কি আসলে নেতাজী? CFL ডিএনএ রিপোর্ট প্রকাশ না করায় উঠছে প্রশ্ন