সংক্ষিপ্ত

ইন্ডিয়াস গট ট্য়ালেন্টের মঞ্চে ঝড় তুললেন বাংলার মেয়ে। দেশের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শ্যো ইন্ডিয়াস গট ট্য়ালেন্টের মঞ্চে এরিয়াল হেয়ার অ্যাক্ট করে রাতারাতি  নজর কাড়লেন পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার জামালপুরের পাচরা গ্রামের তরুণী সাথী দে।  

ইন্ডিয়াস গট ট্য়ালেন্টের মঞ্চে ঝড় তুললেন বাংলার মেয়ে (East Burdwan Girl Sathi Dey )। দেশের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শ্যো ইন্ডিয়াস গট ট্য়ালেন্টের মঞ্চে এরিয়াল হেয়ার অ্যাক্ট করে রাতারাতি  নজর কাড়লেন পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার জামালপুরের পাচরা গ্রামের তরুণী সাথী দে। নিজের চুলের সঙ্গে হারনেস লাগিয়ে এরিয়াল অ্যাক্ট করেন। স্বাভাবিকভাবেই এই অ্যাক্টে চুলের উপরেই সারা শরীরের ভার বহন হয়। এবং সেই অবস্থায় অসধারণ নাচ, কার্যতই বাকরুদ্ধে ইন্ডিয়াস গট ট্য়ালেন্টের বিচারকরা(Indias got Talent Judges) ।

চলতি সিজনে ইন্ডিয়াস গট ট্য়ালেন্টের মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার জামালপুরের পাচরা গ্রামের তরুণী সাথী দে। প্রথমে তাঁকে বোঝা যায়নি যে, আকাশ ছোঁয়া অ্যাক্ট তিনি করে দেখাতে চলেছে। স্টেজের ওপর দেখা যায়, তার বিনুনী করার চুলের মাঝেই লোহার আকসি। যার উপর ভর দিয়েই এরিয়াল অ্যাক্ট করবেন ওই তরুণী। মূলত চুলের ওপর ভর দিয়ে শূন্যে ঝুলে নাচ করাকেই বলা হয় এরিয়াল হেয়ার অ্যাক্ট। ছিপছাপ অভিব্যক্তি দেখে কোনভাবেই বোঝার উপায় ছিল না লাইমলাইটের ওপারে মেকাপের নীচে লুকিয়ে রয়েছে আগুনের আঁচ। ভারতের অন্যতম মেধাবীদের তালিকায় তুলে ধরার জন্যই তো এত কঠোর পরিশ্রম। নাহলে এত দূরত্বে পাড়ি দেয় কেউ। বর্ধমান থেকে রাজ্য়ে পেরিয়ে দেশের অন্যতম রিয়েলিটি শোয়েই জয়ী হতে চায় সাথী দে। স্টেজে প্রবেশ করে ঝুঁকি নিয়েই এই এরিয়াল হেয়ার অ্যাক্টে অসাধারণ পারফর্মমেন্স করে তাই সাথী। শিল্পা শেট্টি, কিরণ খের, বাদশা- সহ সকল বিচারকদের মন জয় করেন সাথী। তার পারফমেন্সে সকলেই সাথীকে বাহবা দিয়েছেন। তবে অ্যাক্ট করার পর আবেগ আর ধরে রাখতে পারেননি সাথী। চোখে বেয়ে নেমে আসে জল।

আরও দেখুন, Deepika Padukone: নিজের জীবনের গভীর অন্ধকার অতীততে তুলে এনেছে আলিশা, অকপট দীপিকা পাড়ুকোন

তবে শুধু নাচেই নয়, পড়াশোনাতেও সমান পারদর্শীতা রয়েছে বর্ধমানের তরুণী সাথী দে-র। বর্ধমানের জামালপুরের পাচরা গ্রামের স্কুল থেকেই উচ্চ মাধ্যমিকে পাস করেছে সাথী। এরপর মেমারি কলেজ থেকে স্নাতক হন তিনি। জানা গিয়েছে, মূলত পরিবারের হাত ধরে নাচে আসা। মাত্র ৩ বছর বয়েসে মায়ের কাছে নাচের প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু। নৃত্য শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন ছোটবেলা থেকে রয়েছে সাথীর। আর এই স্বপ্নপূরণে সাহায্য করেছেন বরাবরাই সাথীর মা। এরপর নিজের চেষ্টায় মায়ের আর্শীবাদ সঙ্গে নিয়েই ইন্ডিয়াস গট ট্য়ালেন্টের মঞ্চে গিয়েছেন ওই তরুণী। এখন শুধুই সাথীকে ট্রফি হাতে দেখার অপেক্ষায় রয়েছে সারা বাংলা।