সংক্ষিপ্ত

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ছোঁয়া- আর তাতেই ফুলেফেঁপে উঠেছিল তাঁরই ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মামার বাড়ির সদস্যরা। তেমনই অভিযোগ হুগলির জঙ্গিপাড়ার মথুরাবাটির বাসিন্দাদের।  কারণ এখানেই অর্পিতার মামার বাড়ি বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ছোঁয়া- আর তাতেই ফুলেফেঁপে উঠেছিল তাঁরই ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মামার বাড়ির সদস্যরা। তেমনই অভিযোগ হুগলির জঙ্গিপাড়ার মথুরাবাটির বাসিন্দাদের।  কারণ এখানেই অর্পিতার মামার বাড়ি বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর সেই মামলার বাড়ি 'প্রভাবশালী' ভাগ্নির সৌজন্য রাতারাতি চেহারা বদলে ফেলেছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও মামাতো ভাইয়ের চাকরি হয়েছিল, বড় বাড়ি হয়েছিল। সরকারি জলকলের সুবিধেও ভোগ করেছিলেন তাঁরা। অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায় গ্রেফতার হওয়ার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা স্বস্তি পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। কারণ গ্রামে মামার বাড়িতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কোনও দিন ভাল করে কথা বলেনি। সর্বদাই ধমকে-চমকে রাখতে প্রতিবেশীদের।  


অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে বস্তা বস্তা টাকা উদ্ধার হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর টাকার অঙ্ক প্রায় ২২ কোটি । টাকার উৎস সন্ধানে তদন্তে নেমেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে এসেছে আরও একাধিক তথ্য। যারফলে ইডির ব়্যাডারে রয়েছে হুগলির জঙ্গি পাড়ায় অর্পিতার মামার বাড়িতেও। অর্পিতার মমা তপন চক্রবর্তীর অবস্থা তেমন ভাল ছিল না। কিন্তু আচমকাই তাঁর অবস্থা ফিরে যায় অর্পিতার জাদু কাঠির ছোঁয়ায়। মাত্র ৪-৫ মাস আগেই একটি নতুন বাড়ি তৈরি হয় তাঁর। পাশাপাশি পুরনো বাড়িটিও মেরামতি করিয়ে নতুন করে নেওয়া হয়। 

স্থানীয়দের অভিযোগ অর্পিতার মামাতো ভাই কুন্তল চক্রবর্তী পড়াশুনায় তেমন ভাল না হলেও একটি চাকরি পেয়ে যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কারণ। তাঁরা আরও জানিয়েছেন অর্পিতার মামার বাড়ির সামনে একটি পুকুর রয়েছে। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তাঁরা ছিপ ফেলে মাছ ধরতেও দেখেছেন। তাঁদের কথায় অর্পিতার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই প্রায়ই হুগলির জঙ্গিপাড়ার মথুরাবাটিতে আসতেন। দুজনে গাড়ি চালিয়ে আসতেন বলেও জানিয়েছেন । তাঁদের আরও অভিযোগ অর্পিতার মামার বাড়ি ঢোকার রাস্তা তেমন চওড়া নয়। পার্থবাবুর গাড়ি ঢিুকতে সমস্যা হত তাই প্রতিবেশীদের বেশ কয়েকটি বেড়াও অর্পিতা প্রভাব খাটিয়ে ভেঙে দিয়েছিল। অর্পিতা নিজের প্রভাব খাটিয়ে সরকারি জলের লাইনও পরিবর্তন করেছিল। নিজের আত্মীয় ও পরিজনদের বাড়ির পাশেই সরকারি জলের কল বসিয়েছিল। অন্যের জমি দখলেও হুমকি দিতেন অর্পিতা। 

স্থানীয়বাসিন্দাদের অভিযোগ অর্পিতার সঙ্গে প্রায়ই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় তাঁদের গ্রামে আসতেন। অনেক সময় গ্রামে অর্পিতার মামার বাড়িতেও থাকতেন। অর্পিতার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যে ঘনিষ্ঠতা ছিল তা গ্রামের বাসিন্দাদের কথায় স্পষ্ট। সম্প্রতি অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে রাশি রাশি টাকা, গয়না, দামি মোবাইল ফোন। 
আরও পড়ুনঃ

পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের অ্য়ারেস্ট মেমোয় মমতার নাম ও ফোন নম্বর, তৈরি করেছে নতুন বিতর্ক

বস্তাভর্তি টাকা আর গয়নার বাক্স কোথা থেকে এল? উত্তর দিচ্ছে না অর্পিতা- আদালতে বলল ED

পার্থ ইস্যুতে মমতা নীরব কেন? রাজীব কুমারের প্রসঙ্গে টেনে জল্পনা বাড়াল বিজেপি