সংক্ষিপ্ত
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদের পরেও অভিষেকের থেকে বেশ কিছু জানার প্রয়োজন ছিল তদন্তকারীদের। সেই কারণেই তাঁকে দ্বিতীয়বার তলব করা হয়।
৬ সেপ্টেম্বরই দিল্লি গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়লাকাণ্ডে তাঁকে প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, ফের তাঁকে তলব করেছে ইডি। ২১ সেপ্টেম্বর তাঁকে দিল্লিতে সংস্থার দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এই নিয়ে অভিষেককে তৃতীয়বার তলব করল ইডি।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদের পরেও অভিষেকের থেকে বেশ কিছু জানার প্রয়োজন ছিল তদন্তকারীদের। সেই কারণেই তাঁকে দ্বিতীয়বার তলব করা হয়। ইডি-র দাবি, মেল পাঠিয়ে তিনি জানান একদিনের নোটিসে তাঁর পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণেই তাঁকে তৃতীয়বার তলব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, Bhabanipur By Poll: নন্দীগ্রামের হার থেকে শিক্ষা, 'ষড়যন্ত্র' থেকে খুব সতর্ক মমতা
৬ সেপ্টেম্বর ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে অভিষেক দাবি করেছিলেন, "ইডি-র উপর চাপ রয়েছে। বিজেপি যাদের দিয়ে এসব করাচ্ছে, তারাও খুশি নয়। আমি বলছি, আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকলে সামনে আনুন। প্রতিটা রাজ্যে যাব। বিজেপি যা করার করুক।"
২৮ অগাস্ট কয়লাকাণ্ডের তদন্তে অভিষেককে নোটিস পাঠিয়েছিল ইডি। ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে, দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছিল। সেই মতো নির্ধারিত সময়ের আগেই দিল্লির আকবর রোডে ইডি-র দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি তদন্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, "আমাকে ডাকা হয়েছিল। শুরু থেকে বলেছি, যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে তৈরি। আমার বিরুদ্ধে ১০ পয়সার প্রমাণ পেলে ফাঁসিতে ঝুলতে রাজি। সকাল ১১ টায় এসেছি। এখন রাত ৮টা বাজে। ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এটা ওদের কাজ। সম্মান করি। সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। লিখিত বয়ান দিয়েছি।"
আরও পড়ুন, শুধু ভবানীপুরেই নয়, ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় লড়াইটা শুরু BJP প্রার্থী প্রিয়াঙ্কার
কয়লাকাণ্ডে সিবিআইয়ের পাশাপাশি আর্থিক তছরুপের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ইডি। অভিষেকের সঙ্গে কয়লাকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে যুব তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিনয় মিশ্র ও অনুপ মাঝি ওরফে লালার। ওই দিন অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগে থেকেই প্রশ্ন তৈরি করে রেখেছিলেন তদন্তকারীরা। সেই মতো একাধিক বিষয় অভিষেকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন তাঁরা।