সংক্ষিপ্ত

  • সংগঠিতভাবে লোক জড়ো করে ভাঙচুর?
  • বিশ্বভারতীকাণ্ডে এবার তদন্তে নামল ইডি
  • অভিযোগ সংক্রান্ত নথি চেয়ে চিঠি পুলিশকর্তাদের
  • চিঠি দিলেন ইডি-এর তদন্তকারীরা
     

স্রেফ সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে কী এত লোক জড়ো করা সম্ভব? যাঁরা ভাঙচুর চালালেন, তাঁরা পেলোডারের মতো ভারী যন্ত্র কেনার টাকাই বা কীভাবে জোগাড় করলেন? বিশ্বভারতীকাণ্ডে এবার তদন্তে নামল ইডি। অভিযোগ সংক্রান্ত নথি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও বীরভূমের পুলিশ সুপারকে।

আরও পড়ুন: ভুয়ো পরিচয়ে রেলকর্মীর সঙ্গে বিয়ে, পুলিশের জালে বাংলাদেশি তরুণী

আদালতের নির্দেশে পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দিতে দিয়ে বিপাকে পড়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ক্ষোভ এতটাই যে, বোলপুর শহরে ধিক্কার মিছিল করে সোমবার ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়ক ও এক কাউন্সিলরেরও। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু মেলার মাঠে যখন ভাঙচুর চলছিল, তখন পুলিশকর্মীরা কোথায় ছিলেন? প্রশ্ন উঠেছে। 

আরও পড়ুন: করোনা আবহে মানবিকতার নজির, বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দিচ্ছেন কাটোয়ার কিংশুক

যে যাই হোক, বিশ্বভারতীকাণ্ডে হঠাৎ ইডি কেন তদন্তে নামল? বিশ্বভারতীর পৌষমেলা মেলা পাঁচিল ঘেরার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল এলাকায়। মেলা মাঠ বাঁচানো লক্ষ্যে একটি মঞ্চও তৈরি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইডি-এর আধিকারিকদের অনুমান, স্রেফ সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ নয়, বরং ঘটনার দিন সংগঠিতভাবে লোক জড়ো করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, যারা অশান্তি পাকিয়েছেন, তাদের কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন টাকা দিয়েও হয়তো সাহায্য করেছে। কারণ, বিশ্বভারতীর গেট ও পাঁচিল ভাঙার জন্য পেলোডার ব্যবহার করা হয়।  এর আগে কলকাতার গার্ডেনরিচে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমা ও গুলি লড়াই হয়। সেই ঘটনায় দুষ্কৃতীরা অস্ত্র কেনার টাকা কোথায় থেকে পেল, তা নিয়ে ইডি তদন্তে নেমেছে বলে জানা গিয়েছে।