সংক্ষিপ্ত
- ট্রেন থেকে পড়ে জখম যাত্রী
- ভিড়ের চটে ট্রেন থেকে পড়ে যান
- স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে থেকে পড়ে যান
- জখম যাত্রী ভর্তি চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে
করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে এখনও লোকাল ট্রেন চালুর অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল। আর সেই স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে চড়তে গিয়েই বিপত্তি বাধে। অতিরিক্ত ভিড়ের চোটে ক্যানিং লাইনে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন থেকে পড়ে গেলেন এক যাত্রী। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- মুর্শিদাবাদ জেলা ভাগের মুখে, 'মাস্টারমাইন্ড' PK
জখম ওই যাত্রীর নাম তাপস মণ্ডল। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার দক্ষিণ নারায়ণপুরে। ক্যানিং ডাউন ট্রেনেই যাতায়াত করতেন তিনি। গতকালও তার অন্যথা হয়নি। তবে গতকাল ট্রেনে খুবই ভিড় ছিল। ফলে ট্রেনের ভিতরে ঢুকতে পারেননি। দরজার কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু, ভিড়ের মধ্যে আর টাল সামলাতে পারেননি। এর ফলে হাত ফসকে সোনারপুর ও বিদ্যাধরপুর স্টেশনের মাঝে গণশক্তি মোড়ের কাছে লাইনে পড়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন- প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রচপাল সিং, শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করেন। খবর দেওয়া হয় সোনারপুর জিআরপিকে। উদ্ধার করে প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কিন্তু, অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
আরও পড়ুন- "ঠুনকো কাজ করে ওর কী লাভ হচ্ছে", বাজেটকে 'দিশাহীন' বলায় শুভেন্দুকে কটাক্ষ পার্থর
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখন নিম্নমুখী। এদিকে রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি থাকলেও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বাস, অটো ও টোটো চলাচলের উপর ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, লোকাল ও মেট্রো পরিষেবা এখনও চালু করার কথা ঘোষণা করেননি তিনি। তবে নিজস্ব স্টাফ, ব্যাঙ্ক কর্মী, স্বাস্থ্য কর্মী ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জন্য স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল। এই ট্রেনে চড়তে পারেন না সাধারণ মানুষ। কিন্তু, তাহলে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে কীভাবে এত ভিড় হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।