সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি ঋণ নিয়ে শোধ করতে পারছিলেন না ব্যাঙ্কে। তাঁর লোন সেটেলমেন্ট করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা টাকা চেয়েছিলেন সৌম্যকান্তি।
ফের একবার ভুয়া আইপিএস অফিসার ধরা পড়ল রাজ্যে। আইপিএস পরিচয় দিয়ে তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল মেদিনীপুর শহরের এক যুবককে। ধৃতের নাম সৌম্যকান্তি মুখোপাধ্যায়। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে সোল্ডার ব্যাজ সহ রিভলভার রাখার হোল্ডার।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি ঋণ নিয়ে শোধ করতে পারছিলেন না ব্যাঙ্কে। তাঁর লোন সেটেলমেন্ট করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা টাকা চেয়েছিলেন সৌম্যকান্তি। মেদিনীপুর শহরের লাইব্রেরি রোড এলাকার বাসিন্দা সৌম্যকান্তি বিভিন্ন সময় নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘোরাফেরা করতেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া নিজের এমন বহু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন যার মাধ্যমে তিনি নিজেকে আইপিএস পরিচয় দিয়েছিলেন। বহু মানুষের থেকে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পরে পুলিশের নজরে আসেন সৌম্যকান্তি। তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। আর তখনই গ্রেফতার করা হয় সৌম্যকান্তিকে।
তদন্তের পর পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, ওই যুবক নিজেকে আইপিএস অফিসার হিসেবে তৈরি করার জন্য একাধিকবার ইউপিএসসি সহ বিভিন্ন পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু, প্রতিবারই তিনি ব্যর্থ হন। এরপর কম সময়ের মধ্যে টাকা রোজগার করতে এই পথ হাতিয়েছিলেন বলে পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- কলকাতা পুলিশের জালে ফের ভুয়ো SI, ধৃতকে আজই তোলা হবে আদালতে
ভুয়োদের ছড়াছড়ি রাজ্যে। প্রসঙ্গত, ভোটের পর থেকে ভুয়ো টিকাকরণ কাণ্ডে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের কীর্তি ফাঁস হওয়ার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রসাশন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভুয়ো আইপিএস, ভুয়ো সিবিআই আধিকারিক, মানবাধিকার কমিশনের কর্মী, ন্যাশনাল ক্রাইম ব্য়ুরোর ভুয়ো আধিকারিকও পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। শহরের রাস্তায় কড়া নজর রাখা হচ্ছে নীল বাতি গাড়ি কিংবা রাজ্য-কেন্দ্রের নামে লেখা স্টিকার এবং নেমপ্লেট লাগানো গাড়ির উপর। গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। আর তার মাঝেই সন্দেহভাজন কাউকে মনে হলেই গ্রফতার করছে পুলিশ। সেভাবেই এতদিনে পুলিশের জালে অনেক ভুয়ো গ্রেফতার হয়েছে।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রায়দান, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
উল্লেখ্যে, মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের জালে ধরা পড়েছে এক ভুয়ো পুলিশ কর্মী। মঙ্গলবার দুপুরে হেলমেট ছাড়াই স্কুটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সঞ্জীব চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি। তখন কলকাতা পুলিশের সার্জেন্টরা তাঁকে আটকায়। সঞ্জীব চক্রবর্তী তখন নিজেকে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর পদের পুলিশ কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। কিন্তু, যথেষ্ট প্রমাণ পত্র তিনি দেখাতে পারেননি। এরপরই তাঁকে আটক করে কলকাতা পুলিশ।