সংক্ষিপ্ত

গঙ্গার গ্রাসে বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। বিপর্যস্ত,মুর্শিদাবাদ-মালদা সংযোগকারী যোগাযোগ ব্যবস্থা।

গঙ্গার গ্রাসে বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। বিপর্যস্ত,মুর্শিদাবাদ-মালদা সংযোগকারী যোগাযোগ ব্যবস্থা।মঙ্গলবার সকালের পর থেকে ভয়াবহ আকার ধারণ করে গঙ্গা। মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী জঙ্গীপুর মহকুমার নিমতিতা সহ একাধিক এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গঙ্গায় হু হু করে জলস্ফীতির ফলে চোখের সামনে বিঘার পর বিঘা জমি, আম-লিচুর বাগান সহ কাঁচা ঘরবাড়ি তলিয়ে যেতে থাকে গঙ্গার গ্রাসে। বিশেষত গঙ্গার কিনারায় থাকা পরিবারগুলি এই পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে পড়েছে। 

বিপদের আশঙ্কায় অন্যত্র পালাচ্ছে বেশকিছু পরিবার। নেতা-মন্ত্রীরা পরিদর্শনে এলেও এখনও পর্যন্ত ভাঙন রোধের কাজ শুরু না হওয়ায় রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার অসহায় বাসিন্দারা। ভাঙ্গনে জর্জরিত মানুষজন এদিন ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন," অবিলম্বে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা করুক সরকার। না হলে কয়েক দিনের মধ্যে সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে"। 

যদিও এদিন স্থানীয় বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র মুণ্ডা দাবি করে সংবাদমাধ্যমকে জানান, আশপাশের কয়েকটি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই বালির বস্তা ফেলে আপাতত ভাঙন রোধের ব্যবস্থা করা হবে"। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধানঘরা এলাকায় সকাল থেকে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়। জল বাড়ার ফলে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় ফাটল দেখা দেয়।

এদিন, সকাল থেকে প্রায় ৬০মিটার এলাকাজুড়ে ধস নামে।  খাদের কিনারায় থাকা বাড়ি গুলি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  ফলে আতঙ্কিত বাসিন্দারা সকাল থেকেই ঘরের আসবাবপত্র অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি জঙ্গীপুর মহকুমার ধানঘরা, হিরানন্দপুর ও ধুসরীপাড়ায় ব্যাপক ভাঙনও দেখা দিয়েছে। পাকা বাড়ি সহ প্রায় শতাধিক বাড়ি গঙ্গার কবলে। 

অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ মালদা সংযোগ রক্ষাকারী ফরাক্কার কুলিদিয়ার ও পাড়সুজাপুর চরে নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পাড় সুজাপুরে ভাঙনে ৪০ মিটার চাষের জমি তলিয়ে গিয়েছে। মাঠে চাষিরা পটল চাষ করেছিলেন। এছাড়া হাবি কলোনিপাড়া থেকে খাসপট্টি পর্যন্ত বেশ কয়েক মিটার এলাকা ভাঙনের গ্রাসে তলিয়ে গিয়েছে। 

ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি পাড়সুজাপুর পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়া, নিশিন্দ্রা কাটানে জলের স্রোত বেশি রয়েছে। ওখানে স্থায়ী সেতুর দ্রুত প্রয়োজন রয়েছে সেই নিয়ে আমি রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাবো"।