সংক্ষিপ্ত
দুই ফসলি থেকে শুরু করে তিন ফসলি নানা ধরনের জমির উপর দিয়ে ওই ভিন রাজ্যের বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার তার নিয়ে যাওয়া আটকাতে সরব হয়েছে জেলার ফার্মার ওয়েলফেয়ার সংগঠন।
মুর্শিদাবাদের পাশেই রয়েছে ঝাড়খণ্ড। আর মুর্শিদাবাদের পাশ্ববর্তী এলাকাতে তৈরি হচ্ছে ঝাড়খণ্ডের বেসরকারি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেখান থেকে উচ্চ বিদ্যুৎবাহী তার যাবে মুর্শিদাবাদের কৃষি জমির উপর দিয়ে। তাই সেই তারের হাত থেকে নিজেদের জমি বাঁচাতে মরিয়া বল্লালপুর, জাফরগঞ্জ, বৈকুণ্ঠপুর, ইমামনগর সহ একাধিক এলাকার কয়েক হাজার কৃষক পরিবার।
আরও পড়ুন- 'বাড়াতে হবে নম্বর', স্কুলের আসবাব ভেঙে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
দুই ফসলি থেকে শুরু করে তিন ফসলি নানা ধরনের জমির উপর দিয়ে ওই ভিন রাজ্যের বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার তার নিয়ে যাওয়া আটকাতে সরব হয়েছে জেলার ফার্মার ওয়েলফেয়ার সংগঠন। জমির উপর দিয়ে তার নিয়ে যাওয়া আটকানো ও জমির ফল বাঁচানো সহ একাধিক দাবিতে সরব হয়েছে তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের দাবি, ঝাড়খণ্ডে একটি বেসরকারি সংস্থা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির কাজ চলছে। তারা সেখান থেকে বিদ্যুৎ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এই সব এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমির মধ্যে দিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। উচ্চ বিদ্যুৎবাহী তার নিয়ে যেতে চাইছে তারা। যার ফলে ফসল থেকে শুরু করে ফলের বাগান, আম ,লিচু , কাঁঠালের বাগানের উপর দিয়েই বিদ্যুতের তার যাবে। জমিতে বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হবে। তা হলে জমির গুরুত্ব অনেক কমে যাবে। নষ্ট হবে উর্বরতা শক্তি। পাশাপাশি ঝুঁকির ভয়ে অনেকে জমি কিনতে চাইবে না।
আরও পড়ুন- সন্ধ্যা পেরোতেই প্রবল বর্ষণ রাজ্যের এই ৪ জেলায়, মঙ্গলে বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে
এনিয়ে এখন আশঙ্কার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের কয়েক হাজার কৃষক পরিবার। ফার্মার ওয়েলফেয়ার সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এইভাবে যদি ওই বেসরকারি সংস্থার উচ্চ বিদ্যুৎবাহী তার কোনওরকম পরিকল্পনা ছাড়াই এই সকল অসহায় কৃষকদের জমির মধ্যে দিয়ে যায় তাহলে তাঁদের চাষাবাদের কাজ নষ্ট হবে। ফলে তাঁরা যথেষ্ট সমস্যায় পড়বেন। তাই তাঁদের দাবি, প্রশাসন এবিষয়ে পদক্ষেপ করুক।
আরও পড়ুন- রাজধানীতে মমতার পা পড়ার সঙ্গেই ট্রেন্ডিং নতুন হ্যাশট্যাগ, 'আব কি বার দিদি সরকার'
স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে লিয়াকাত আলি, আজম শেখ, বীরেন মণ্ডল বলেন, "এইভাবে আমাদের জমির উপর দিয়ে ওই বেসরকারি সংস্থার বিদ্যুৎবাহী তার যাওয়া মানে আমাদের জমি বলে আর কিছু থাকবে না। আমরা জানি না আগামী দিনে কী হতে চলেছে।"