সংক্ষিপ্ত

২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদীকে মুখ করে প্রচারে ঝড় তুলেছিল বিজেপি। সেই সময় তাদের স্লোগান ছিল, "বহত হুই জনতা পর পেট্রল-ডিজেলকে মার/ আব কি বার মোদি সরকার।" 

আজই পাঁচদিনের জন্য দিল্লি পাড়ি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি বৈঠক করবেন একাধিক বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে। তবে মমতার দিল্লি যাওয়ার আগে দেখা যাচ্ছে একের পর এক চমক। তিনি দিল্লি পা রাখতে না রাখতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেল এক নতুন হ্যাশট্যাগ। 'আব কি বার, দিদি সরকার'। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হচ্ছে এই নতুন হ্যাশট্যাগ। আর থেকেই আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে মোদীর বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নামছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। 

আরও পড়ুন- পাঁচ দিনের দিল্লি সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মঙ্গলেই

২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদীকে মুখ করে প্রচারে ঝড় তুলেছিল বিজেপি। সেই সময় তাদের স্লোগান ছিল, "বহত হুই জনতা পর পেট্রল-ডিজেলকে মার/ আব কি বার মোদি সরকার।" আর এবার সেই পোস্টারের মতোই নতুন একটি পোস্টার তৈরি করেছে তৃণমূল। সেখানে মমতাকে হাতজোড় করে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। আর ছবিতে ঠিক তাঁর পাশেই লেখা, "আব কি বার, দিদি সরকার"। পোস্টারের ঠিক নিচের দিকে লেখা "নেহি চাহিয়ে ফেকু সরকার, #আবকিবারদিদিসরকার। #বেঙ্গলমডেল"

 

আরও পড়ুন- দিল্লি যাওয়ার আগেই পেগাসাস ইস্যুতে তদন্ত কমিশন গঠন মুখ্যমন্ত্রী মমতার, তীব্র কটাক্ষ অমিত মালব্যর

বিজেপির পথে হেঁটে লোকসভা ভোটের অনেক আগে থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, একুশের শহিদ মঞ্চ থেকেই বিজেপির গুজরাট মডেলের পাল্টা বাংলার মডেলকে তুলে ধরেছিলেন মমতা।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একাই গেরুয়া রথ থামিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। তৃতীয়বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। আর তারপরই জাতীয় রাজনীতিতে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বিজেপি বিরোধী জোটের প্রধান মুখ মমতা। তাহলে কি সত্যিই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মুখ হিসেবে দেখা যাবে তাঁকে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। 

আরও পড়ুন- আজ বিকেলেই বিমানে দিল্লি পাড়ি মমতার, মোদীর বৈঠক ছাড়াও আরও কী কী কর্মসূচিতে

ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন করা হয়েছে মমতাকে। এছাড়া কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে পেগাসাস বিতর্কে সংসদের ভিতরে ও বাইরে আন্দোলনের মাধ্যমে নজর কেড়েছে তৃণমূল। ধীরে ধীরে গোটা দেশেই বিজেপির বিরোধিতায় একেবারে সামনের সারিতে পৌঁছে যাচ্ছে তারা। আর সেখানেই মমতার দিল্লির সফরের দিনই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এই নতুন হ্যাশট্যাগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মোদী সরকারকে এভাবে চাপে ফেলতেই তৃণমূল এই নয়া কৌশল ফেঁদেছে বলে অনুমান তাঁদের।  

দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে পারেন মমতা। এছাড়াও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গেও তিনি দেখা করতে পারেন। যদিও তাঁর এই দিল্লি সফরকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি।